বাংলা হান্ট ডেস্কঃ SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Recruitment Scam) তোলপাড়! এদিন সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মামলার শুনানি উঠতেই জোর সওয়াল করে রাজ্য। ‘‘মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে বেনিয়মের কোনও প্রমাণই নেই। তারা শুধুমাত্র সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বৈঠক করেছিল। কার্যকর করা হয়নি কিছু। এরপরও মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত হলে সংসদীয় গণতন্ত্র কোথায় যাবে, কী করবে?’’ সওয়াল রাজ্যের। ওদিকে সর্বোচ্চ আদালতে মামলা গড়াতে এতদিনে এসে অবশেষে অযোগ্য নিয়োগের কথা স্বীকার করে নিল এসএসসি (School Service Commission)।
এদিন স্কুল সার্ভিস কমিশন সাফ জানিয়ে দিল ১৯ হাজার চাকরিপ্রাপক যোগ্য, বাকিরা সকলে অযোগ্য! অযোগ্যদের নিয়ে কোনও সওয়াল করেনি এসএসসি। কমিশনের কথায় আশার আলো দেখছেন যোগ্য চাকরিহারারা। প্রায় ৭ হাজার অবৈধ নিয়োগ হয়েছে বলে এদিন সাফ স্বীকারোক্তি স্কুল সার্ভিস কমিশনের।
এদিন যোগ্য-অযোগ্য পৃথকীকরণের প্রশ্ন এসএসসি-র দিকে সমস্ত দায় ঠেলল রাজ্য। আদালতে রাজ্যের আইনজীবীর সাফ দাবি, কারা যোগ্য-কারা অযোগ্য, তার উত্তর কমিশনের আইনজীবী দিতে পারবেন। পুরো প্যানেল বাতিলের প্রয়োজন ছিল কি না, অংশবিশেষ বাতিলের সুযোগ ছিল কি না, এই সমস্ত কিছু বলতে পারবে একমাত্র এসএসসি।
রাজ্যের বক্তব্য শুনতেই ফের প্রশ্ন ছোড়ে সুপ্রিম কোর্ট। ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া। ২০১৯ প্যানেলের মেয়াদই শেষ। ২০২১ সালে মামলা দায়ের। বলতে চাইছেন ৬ বছর পরে কোনও ওয়েট লিস্টেড প্রার্থী বেআইনি অভিযোগ তুলে চাকরি চাইতে পারবেন না। কেন নিয়োগের ছবছর পর ২০২২ সালে এসে অতিরিক্ত পদ তৈরী করা হল প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির।
আরও পড়ুন: ‘মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে বেনিয়মের কোনও প্রমাণ নেই, ওরা শুধু বৈঠক করেছে’, SSC মামলায় যা জানাল রাজ্য
জবাবে রাজ্যের আইনজীবী জানান, “কোনও খারাপ অভিসন্ধি ছিল না”, নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে রাজ্য কোনওভাবেই যুক্ত নয়, নিয়োগ করে এসএসসি। ২০২১-এ হাইকোর্টে মামলা, অভিযোগ উঠতেই অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি করেন রাজ্যের আইনজীবী।