বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘বাধ্য হচ্ছি’! সোমবার এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) মামলার রায়দানের পর কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চকে এমনটাই বলতে শোনা গিয়েছিল। কারা প্রকৃত চাকরিপ্রাপক এবং কারা নয়, সেটা বুঝতে না পেরে ২০১৬ এসএসসি পরীক্ষার গোটা প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দেয় আদালত। যে কারণে এক ধাক্কায় চাকরি চলে যায় ২৫,৭৫৩ জনের।
গতকাল হাই কোর্টের রায় ঘোষণার পর থেকে এই ইস্যু নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এর মাঝেই এসএসসি চাকরি সংক্রান্ত আরও দুর্নীতি প্রকাশ্যে এল। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, অষ্টম দফার কাউন্সিলিংয়ের পুরোটাই প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরে হয়েছিল। অভিযোগ, রাত্রিবেলা মোবাইলে নিয়োগের এসএমএস (SMS) যায়। অষ্টম দফার কাউন্সিলিং কীভাবে সম্পূর্ণ হয়েছিল এখন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি থেকে শুরু করে নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ, সব নিয়োগেই দুর্নীতি হয়েছে। এর মধ্যে গ্রুপ ডি-তে দুর্নীতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি বলে খবর। গ্রুপ ডি-তে প্রায় ৪৫% চাকরিতেই দুর্নীতি হয়েছে। গ্রুপ সি, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশের ক্ষেত্রে সেই সংখ্যাটা যথাক্রমে ৩৮.৫%, ৮.৫% এবং ১৪.৪৭%।
আরও পড়ুনঃ খাদ্য দফতরের SI নিয়োগেও ব্যাপক দুর্নীতি? বিরাট নির্দেশ দিল হাই কোর্ট, মাথায় বাজ পরীক্ষার্থীদের!
২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষায় কোন চাকরিপ্রাপকরা যোগ্য এবং কাদের নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে সেটা আলাদা করতে না পেরেই হাই কোর্টের তরফ থেকে সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে অনুমান ওয়াকিবহাল মহলের। দুধ থেকে জল আলাদা না করতে পারার জন্যই এমন রায় বলে মনে করছেন অনেকে।
উল্লেখ্য, এর আগের শুনানিতে রাজ্য সরকার এবং এসএসসিকে ডিভিশন বেঞ্চ বারবার প্রকৃত চাকরিপ্রাপকদের হিসেব দিতে বলেছিল। তবে সেই হিসেব জমা দিতে পারেনি রাজ্য। এদিকে আবার দেখা যায়, এসএসসির সুপারিশ করা সংখ্যার থেকে বেশি প্রার্থী চাকরি পেয়েছেন। পরিষ্কার হয়ে যায়, সুপার নিউমেরিক পোস্টেও বেআইনিভাবে বহু চাকরি হয়েছে। তাই একপ্রকার ‘বাধ্য’ হয়েই হাই কোর্ট সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করেছে বলে মনে করছেন অনেকে।