বাংলা হান্ট ডেস্ক: অনেকেই চান লাভজনক ব্যবসার মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যেই মোটা অঙ্কের টাকা উপার্জন করতে। তবে, সঠিক পদ্ধতি এবং ব্যবসা নির্বাচনের মাধ্যমে খুব সহজেই তা সম্ভব। বর্তমান প্রতিবেদনে ঠিক এই রকমই এক লাভজনক ব্যবসার প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করা হল।
আপনি যদি বর্তমান সময়ে একটি নতুন ব্যবসা শুরু করার কথা ভাবেন তাহলে খেজুর চাষ নিঃসন্দেহে একটি লাভজনক ব্যবসার বিকল্প হতে পারে। শুধু তাই নয়, এই ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রতিটি গাছ থেকে বছরে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব।
এদিকে, খেজুর এমন একটি ফল যা সাধারণত মরু অঞ্চলে চাষ করা যায়। তবে, আপনি চাইলেই ফাঁকা জমিতেও এই চাষ শুরু করতে পারেন। সবচেয়ে বড় কথা হল খেজুর চাষ করতে খুব একটা খরচ হয় না। এক একর জমিতে প্রায় ৭০ টি খেজুর গাছ রোপণ করা যায়।
এক একটি গাছে ৭০ থেকে ১০০ কেজি পর্যন্ত ফলনও খুব সহজেই পাওয়া যায়। এমতাবস্থায় এক একর কৃষি জমি থেকে একবারে ৫ হাজার কেজি পর্যন্ত খেজুর উৎপাদন করা সম্ভব। এদিকে, বাজারের চাহিদা অনুযায়ী, খেজুর বিক্রিও হয় অনেক দামে। এমতাবস্থায়, এক মরশুমেই খেজুর বিক্রি করে ২-৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করা যায়।
এই গাছ লাগানোর জন্য সাধারণত বালিযুক্ত ও ভঙ্গুর মাটি প্রয়োজন। এমতাবস্থায় চাষ শুরু করার আগে বাঁকানো লাঙল দিয়ে ক্ষেতের মাটি গভীরভাবে কর্ষন করতে হবে। তারপর মাঠটিকে ওই অবস্থায় কয়েকদিন ফেলে রেখে এর পরে, আবার ২-৩ বার লাঙল করে দিলেই মাটি ভঙ্গুর হয়ে যাবে। তারপর জমিটি সমতল করে তাতে গোবর সার দিতে হবে।
খেজুর চাষে বেশি জলের প্রয়োজন হয় না। যত বেশি তাপমাত্রা থাকে, খেজুর গাছ তত দ্রুতহারে বৃদ্ধি পায়। খেজুর ফল পাকার জন্য, ৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা প্রয়োজন। আগস্ট মাস খেজুর রোপণের জন্য উপযুক্ত বলে বিবেচিত হয়। পাশাপাশি, চারা রোপণের ৩ বছর পর, এক একটি গাছ ফলন দেওয়ার জন্য প্রস্তুতও হয়ে যায়। এই চাষের ক্ষেত্রে গ্রীষ্মকালে ১৫ দিন এবং শীতকালে এক মাস যাবৎ সেচের প্রয়োজন থাকে।