বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের পড়ুয়াদের জন্য একাধিক প্রকল্প ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কখনো সবুজসাথী আবার কখনো কন্যাশ্রী। বারবারই পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শেষে নির্বাচনের আগে পড়ুয়াদের জন্য ট্যাব দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন তিনি। যদিও বাজারে এত ট্যাব উপলব্ধ না থাকায় পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে।
পড়ুয়ারা সরকারের থেকে ট্যাব পেয়ে বেজায় খুশিও হয়েছে। তাঁরা এতটাই খুশি হয়েছে যে, কিছু কিছু জায়গায় মাইক-ডিজে ভাড়া করে মিছিলও করেছে। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করতে ছারেনি বিরোধীরা। বিজেপি-সিপিএমের তরফ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বলা হয়েছিল যে, রাজ্যে যখন করোনার কারণে স্কুল বন্ধ ছিল। তখন মুখ্যমন্ত্রী পড়ুয়াদের ট্যাব দেননি কেন?
বিরোধীরা অভিযোগ করে বলেছিলেন, সেই সময় অনেকেই স্মার্ট ফোন/ ট্যাব না থাকার কারণে অনলাইনে পড়াশোনা করতে পারেনি। মুখ্যমন্ত্রী তখন পড়ুয়াদের ট্যাব না দিয়ে ভোটের মুখে ট্যাব দিচ্ছেন। এছাড়াও বিরোধীরা বলেছিল, বাজারে যদি ট্যাব উপলব্ধ নাই থাকে তাহলে ১০ হাজার করে টাকা পাওয়ার পর পড়ুয়ারা ট্যাব কিনল কি করে? যদিও এই নিয়ে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কোনও পাল্টা মন্তব্য মেলেনি।
আর এবার নির্বাচনী প্রচারের জন্য পড়ুয়াদের ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি সরাসরি শাসক দলের দিকে আঙুল তুলে বলেছে, তৃণমূল ভোট পেতে পড়ুয়াদের ঝাণ্ডা নিয়ে রাস্তায় নামাচ্ছে। গতকাল উত্তর ২৪ পরগনার পানপুর মাখনলাল স্কুলের সামনে বহু পড়ুয়াকে কন্যাশ্রী-ট্যাব-সাইকেল নিয়ে মিছিল করতে দেখা যায়। এটা নিয়েই এবার বিজেপি আর তৃণমূলের মধ্যে শুরু হয়েছে কাদা ছোড়াছুড়ি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগ করেছে বিজেপি।
পড়ুয়াদের মিছিলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাটআউট লাগিয়ে, বক্স বাজাতে দেখা যায়। পড়ুয়াদের কাটআউটে লেখা ছিল ‘আমরা সাইকেল পেয়েছি। মোবাইল পেয়েছি। কন্যাশ্রী পেয়েছি।” এভাবে পড়ুয়াদের মিছিল নিয়ে শাসক বিরোধী দুই দলের মধ্যে তরজা শুরু হয়েছে। বিজেপি অভিযোগ করে বলেছে নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পরেও তৃণমূল কীভাবে পড়ুয়াদের দিয়ে এমন মিছিল করাল?
যদিও তৃণমূলের তরফ থেকে সমস্ত অভিযোগ খারিজ করা হয়েছে। তৃণমূলের স্থানীয় নেতা দেবজ্যোতি ঘোষ বলেন। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। পড়ুয়ারা সবকিছু পেয়েছে তাই আনন্দে মিছিল করছে।