বাংলাহান্ট ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী (raj chakraborty)। রাজনীতিতে এসেই একুশের নির্বাচনে লড়ার টিকিট পেয়ে গিয়েছেন তিনি। ব্যারাকপু্রে তৃণমূলের হয়ে ভোটে লড়তে চলেছেন রাজ। নাম ঘোষনা হওয়ার পর থেকেই জোর কদমে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন তারকা প্রার্থী।
তবে এতদিন একাই প্রচার কাজ চালাচ্ছিলেন রাজ। স্ত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলী (subhashree ganguly) ও ছেলে ইউভান ছিল কলকাতার বাড়িতে। এবার স্বামীর প্রচার কাজে সঙ্গী হলেন শুভশ্রীও। এদিন মনোনয়ন জমা দিতে যান রাজ। প্রচণ্ড রোদ মাথায় নিয়েই রাজের পাশে হেঁটে তাঁর সঙ্গী হলেন অভিনেত্রী। এদিন হলুদ রঙের শাড়িতে দেখা গেল শুভশ্রীকে। মুখে ছিল মাস্ক।
ব্যারাকপুরে পৌঁছে সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শুভশ্রী বলেন, “এখানে আসার খুব ইচ্ছা ছিল। রাজ সকলের এত ভালবাসা পাচ্ছে। ওর নিত্যনতুন অভিজ্ঞতাগুলো শুনে খুব ভাল লাগে। অবশ্য শুরু থেকেই ওর রাজনৈতিক মতাদর্শ ছিল। গত ১০ বছরে এখানকার উন্নতি কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে সেই বিষয়ে ওর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। রাজের নামে দেওয়াল লিখন দেখে খুব গর্ব অনুভব করলাম।”
ব্যারাকপুরে রাজের প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন বিজেপির অর্জুন সিং। স্বাভাবিক ভাবেই লড়াইটা যথেষ্ট কঠিন। কিন্তু রাজের কথায়, প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু মাঠে নেমে দেখলেন প্রতিদ্বন্দ্বী কেউই নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প মুখ্যমন্ত্রী কেউ নেই সেটা বাংলার মানুষও জানেন বলে মন্তব্য করেন রাজ।
কিছুদিন আগে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রার্থনা করেন রাজ। স্ত্রী ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে পুরী গিয়েছিলেন তিনি। জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দেওয়ার ছবি নিজেই ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন রাজ। সাদা পাঞ্জাবী পাজামায় এদিন পুজো দিতে যান তিনি। শুভশ্রীর পরনেও ছিল সাদা চুড়িদার। মাথা ঢাকা ছিল গোলাপী ওড়নায়। করোনা আবহে দুজনের মুখেই ছিল মাস্ক।
পুজো দেওয়ার পর্ব মিটিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে সমুদ্র সৈকতে হুল্লোড় করতেও দেখা যায় ‘রাজশ্রী’ জুটিকে। ছবিগুলি নিজের ইনস্টা হ্যান্ডেলে শেয়ার করে রাজ লিখেছেন, ‘জয় জগন্নাথ’। কমেন্ট করতে দেখা গিয়েছে অভিনেত্রী পার্নো মিত্রকেও। তিনি লিখেছেন, প্রসাদ আনতে যেন না ভোলেন রাজ।