বাংলাহান্ট ডেস্ক: শাশুড়ি বৌমা মানেই আদায় কাঁচকলায় সম্পর্ক। হয় শাশুড়িকে অপমান করার জন্য ফন্দি আঁটে বৌমা আর নয়তো ছেলের বৌকে অপদস্থ করার জন্য ষড়যন্ত্র করেন শাশুড়ি। বিয়ের পর ছেলে কার? এ নিয়ে দড়ি টানাটানি লেগেই রয়েছে! সমাজের এমন চিত্র নতুন নয়। সিরিয়ালেও প্রায়শই দেখা যায়। কিন্তু এই ছবিটা বদলাতে শাশুড়ি মায়ের সঙ্গেই হাত মিলিয়েছেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় (Subhashree Ganguly)।
রাজ চক্রবর্তীর মা অর্থাৎ শুভশ্রীর শাশুড়ি মা এখন নেটপাড়ার চেনা মুখ। সদাহাস্যময় মানুষটিকে দেখলেই মন ভাল হয়ে যেতে বাধ্য। এমন শাশুড়ি মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করা যায়? বৌমাকে নিজের মেয়ের মতোই আপন করে নিয়েছেন তিনি। বরং অভিনেত্রীর কথায়, ছেলে রাজের উপরে বৌমাকে রাখেন শাশুড়ি। তাঁর জন্য নাকি রান্নাই ভুলে গিয়েছেন টলিউড অভিনেত্রী!
আগামীকাল ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। গোটা বিশ্বজুড়ে মহিলাদের ক্ষমতায়নের কথা সোচ্চারে বলার জন্য উদযাপন করা হয় এইদিন। আনন্দবাজার অনলাইনে নারী দিবস সম্পর্কে লিখতে গিয়েই শাশুড়ি মায়ের কথাই আগে মনে এসেছে শুভশ্রীর। অকপটে তিনি জানান, বিয়ের পর যেদিন প্রথম তিনি শ্বশুরবাড়িতে আসেন, সেদিই শাশুড়ি মা বলে দিয়েছিলেন, রাজ কোনোদিন রান্নাঘরে ঢোকে না। তাই শুভশ্রীও ঢুকবেন না।
বরং বৌমাকে সর্বক্ষণ কাজ করতে উৎসাহ যোগান। রাজ পরিচালনা শুরু করতে শাশুড়ি মা শুভশ্রীকে জিজ্ঞাসা করেন, তিনি কবে কাজ শুরু করছেন? এমনকি বৌমা শরীরচর্চা করলেও সেটা আগ্রহ নিয়ে বসে বসে দেখেন তিনি। নাতি ইউভানকে সবসময় বলেন, বড় হয়ে মায়ের মতো হতে।
শুভশ্রী বলেন, রাজ তাঁর মায়ের মতোই হয়েছে। মহিলাদের তিনি যেভাবে সম্মান করেন সেটা ইউভানও শিখুক, এমনটাই চান অভিনেত্রী। শুভশ্রী তিনি প্রগতিশীল পরিবারের মেয়ে। যৌথ পরিবার হলেও মা বাবা কখনো বিয়ের জন্য চাপ দেননি। অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন আরো ভাল কাজ করার জন্য। নিজে পায়ে দাঁড়িয়ে তারপর বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন শুভশ্রী।
তাঁর পারিবারিক পরিসরে তো সমতা এসেছে। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে? শুভশ্রীর হতাশা, কাজের জায়গায় এখনো নারী পুরুষ ভেদাভেদ যথেষ্ট স্পষ্ট। যেমন নারীকেন্দ্রিক চরিত্রের জন্য প্রথম সারির পুরুষ অভিনেতা পাওয়া যথেষ্ট কষ্টসাধ্য ব্যাপার। কিন্তু উলটোটা অত্যন্ত সাধারন ঘটনা। এছাড়া পারিশ্রমিকের মধ্যে ভেদাভেদ তো বলিউড টলিউড সর্বত্রই রয়েছে। এগুলোতে পরিবর্তন আনা উচিত বলেই মনে করেন শুভশ্রী।