‘কল্যাণ নেই অকল্যাণ হয়ে গিয়েছে’, গেরুয়া বাহিনী নিয়ে শ্রীরামপুরে দাপট দেখালেন সুকান্ত, দেখা নেই তৃণমূল সাংসদের

Published on:

Published on:

sukanta majumdar

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ SIR ইস্যুতে তুঙ্গে তরজা। রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা ভোট, আর তার আগেই আসন্ন ভোটার তালিকা বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) নিয়ে বাগযুদ্ধ তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) মধ্যে। রাজনৈতিক পরিসর থেকে সরে গিয়ে চলে ব্যক্তিগত আক্রমণও।

কল্যাণের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে শ্রীরামপুরে সুকান্ত | Sukanta Majumdar

সম্প্রতি সুকান্ত বলেন, এসআইআর প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে কোনওরকম অশান্তি হলে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে, চলবে গুলিও। এতেই ফুঁসে ওঠেন কল্যাণ। পাল্টা বাংলার ভোটারদের ‘হুমকি’ দেওয়ার জন্য তিনি সুকান্তকে কাঠগড়ায় তোলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ। একই সাথে সুকান্তকে নিজের নির্বাচনী এলাকায় আসার জন্য চ্যালেঞ্জ জানান।

কল্যাণ বলেন, “নির্বাচন কমিশন শুধু একজন ভোটারকে তালিকা থেকে বাদ দিক, তারপর দেখুন কী হয়। আমরা সব কিছু অচল করে দেব। ওই ছেলেটা যে মন্ত্রী হয়েছে, তাকে বলুন সিআইএসএফের গুলি তাদের লাগবে। সাহস থাকলে শ্রীরামপুরে আসুন। দেখি কীভাবে বাড়ি ফেরেন।”

সুকান্ত মজুমদার রাজ্যের প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি, বর্তমানে তিনি কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এবং সাংসদ। তাঁকে ‘তুই তোকারি’ করে কল্যাণ সম্বোধন করায় জোর বিতর্ক তৈরী হয়। এদিকে কল্যাণের সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে শনিবারই এবার কল্যাণগড়ে সুকান্ত। শুধু যে বাইক ব়্যালি করে সুকান্ত দাপট দেখালেন এমনটা নয়, শ্রীরামপুরের বৈদ্যবাটিতে কর্মী সম্মেলনও করলেন সুকান্ত।

আরও পড়ুন: কিছুক্ষণেই বৃষ্টি শুরু দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায়! রবিবার ভিজবে কলকাতাও, কতদিন চলবে?

এদিন শ্রীরামপুরের দাঁড়িয়ে SIR ইস্যুতে তৃণমূলকে তোপ দাগেন সুকান্ত। গল্প শুনিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাণ রয়েছে SIR-এর মধ্যে। ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী মুসলিমদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাবেই’, বলে স্পষ্ট বার্তা দেন সুকান্ত।

সুকান্ত বলেন, “ আগুনকে ভয় পাই না। পুলিশ না থাকলে ১৫ মিনিটে তৃণমূলের সব অফিস বন্ধ হয়ে যাবে। ক্ষমতা থাকলে পুলিশ সরিয়ে এসো, দেখব কার কত ক্ষমতা।” ছাব্বিশে বিজেপিই আসছে ক্ষমতায়, বলেও এদিন হুঙ্কার করেন সুকান্ত।

হুঙ্কারের সুরে সাংসদ বলেন, “কল্য়াণদা যদি খেলতে ডাকে তাহলে আমি কর্মীদের বলে দিচ্ছি ভাল করে খেলুন।” যদিও সুকান্ত স্পষ্ট করেন, “আমাদের খেলতে ডাকলে আমরা খেলব। আমি খেলতে খুব ভালবাসি। কল্যাণদা কী খেলতে চায় সেটাই খেলব। চ্যালেঞ্জ আমি আগেই গ্রহণ করেছি। আমি তো শ্রীরামপুরেই দাঁড়িয়ে আছি। যে চ্যালেঞ্জ করেছিল সে ছুঁ কিতকিত করতে করতে ফুঁস হয়ে গিয়েছে।’

Sukanta Majumdar

আরও পড়ুন: ‘উনি উত্তরবঙ্গে গিয়ে বসে আছেন’, সরাসরি নিশানা মমতাকে! কি নিয়ে বেলাগাম হুমায়ুন?

আর সবশেষে কল্যাণবাবুকে ‘মিষ্টি’ আমন্ত্রণ জানিয়ে সুকান্ত বলেন, ‘আপনি বালুরঘাটে আসুন, আমার বাড়িতে এসে এক কাপ চা খেয়ে যাবেন’। এভাবে তৃণমূল সাংসদের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে কল্যাণগড়ে সুকান্তর যাত্রা বিজেপির “শক্তি প্রদর্শনে”র উদাহরণই বলছে রাজনৈতিক মহল।