বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দেশের একাধিক রাজ্যে জনসংখ্যার ভিত্তিতে হিন্দুদের (Hindu) সংখ্যা কম, সেই কারণে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) একটি মামলা দায়ের করা হয়। সেই সূত্রে কি এবার এ সকল রাজ্যগুলিতে সংখ্যালঘু তকমা পাওয়ার পথে খানিকটা অগ্রসর হলো হিন্দু সম্প্রদায়? বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই রাস্তা কিছুটা হলেও মসৃণ হয়েছে। শুনানি চলাকালে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, “দেশের প্রতিটি মানুষ কোন না কোন রাজ্যে সংখ্যালঘু হবেই। এক্ষেত্রে ধর্ম এবং ভাষার নিরিখে যদি মানুষকে সংখ্যালঘু বিচার করতে হয়, তবে তা একমাত্র রাজ্যের উপর নির্ভর করে।”
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা চলাকালীন বলা হয়, “লাদাখে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের হার মাত্র ১ শতাংশ। মিজোরামে ২.৭৫ শতাংশ, কাশ্মীরে সেই সংখ্যা ৪ এবং লাক্ষাদ্বীপে ২.৭৭ শতাংশ।” এরপরে আরো বেশ কয়েকটি রাজ্যের পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়। এক্ষেত্রে জানানো হয়েছে, “দেশের অন্যান্য একাধিক রাজ্যে তথা মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশ এবং পাঞ্জাবের মতো রাজ্যগুলিতে হিন্দু মানুষের সংখ্যা যথাক্রমে ১১.৫২, ২৯ এবং ৪১.২৯ শতাংশ।”
এরপরেই এ সকল রাজ্যগুলিতে হিন্দুদের সংখ্যালঘু সুবিধা না পাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন তোলা হলে আদালত জানায়, “আমাদের একটি পরিচিত ধারণা হলো, হিন্দুরা ভারতবর্ষে সংখ্যাগুরু। তাই তারা সংখ্যালঘু সুবিধার পাওয়ার জন্য কোনরকম আবেদন করতে পারবেন না।”এই প্রসঙ্গে আদালতের বিচারপতি মামলাকারীদের আরো একাধিক তথ্য দেওয়ার বিষয়ের মতামত প্রকাশ করেন।
এদিন শীর্ষ আদালতের তরফ থেকে জানানো হয়, “ধর্ম এবং ভাষার উপর নির্ভর করে কাকে সংখ্যালঘু তকমা দেওয়া হবে, তা সম্পূর্ণরূপে রাজ্যের উপর নির্ভরশীল। এক্ষেত্রে যেকোনো রাজ্যের মানুষ যদি অন্য কোন রাজ্যে যান, তবে সেখানে তারা সংখ্যালঘু।” ফলে এদিনকার শুনানি শেষে শীর্ষ আদালতের রায়দানের ফলে হিন্দুদের সংখ্যালঘু তকমা প্রাপ্তি যে কিছুটা অগ্রসর হল, তা বলা যায়।
যদিও এক্ষেত্রে এখনো পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট সরাসরি সংখ্যালঘু তকমা দেওয়ার পক্ষে নয়। এক্ষেত্রে মামলাকারীদের উদ্দেশ্যে এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আরো বেশ কিছু তথ্য দেওয়ার ব্যাপারে মত প্রকাশ করেন।