বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে মেডিকেলে ভর্তি (MBBS Admision Scam) মামলা নিয়ে তুলকালাম বাঁধে কলকাতা হাইকোর্টে। এমবিবিএসে ভর্তিতে দুর্নীতির মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। এরপর সেই নির্দেশের ওপর মৌখিক স্থগিতাদেশ জারি করেন ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি সৌমেন সেন (Justice Soumen Sen)। আর এই নিয়েই বেনজির সংঘাতে জড়িয়ে যান দুই বিচারপতি। একেবারে বিরল ঘটনার সাক্ষী রইল রাজ্যবাসী। মামলা থেকে ব্যক্তিগত আক্রমণ, সংঘাতের জল এতটাই গড়ায় যে তা নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ নেয় সুপ্রিম কোর্ট। আজ শনিবার এই নিয়ে শুনানি ছিল সর্বোচ্চ আদালতে। আর সেখানেই একের পর এক বিরাট নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।
এদিন বিচারপতি সেন বনাম বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ইস্যুতে দু’তরফেরই বিচারপ্রক্রিয়া স্থগিত করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিচারপতি সৌমেন সেনের মধ্যে সংঘাতের জেরে মেডিকেলে ভর্তি মামলা সংক্রান্ত সব বিচারপ্রক্রিয়া স্থগিত করে দিয়েছে। পাশাপাশি স্থগিত করা হল সিবিআই তদন্তও।
শনিবার দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে এই বিতর্কের শুনানিতে পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চে ছিলেন আরও চার সদস্য। ছিলেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি সূর্যকান্ত ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস। সেই বেঞ্চই কলকাতা হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ এবং ডিভিশন বেঞ্চে মেডিক্যাল মামলার সব প্রক্রিয়া স্থগিত করে দিল। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে। তার আগে পর্যন্ত সমস্ত পক্রিয়া স্থগিত থাকবে।
পাশাপাশি মেডিক্যাল কলেজ মামলায় রাজ্যকে নোটিস জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। মেডিক্যালে সংরক্ষিত আসনে অসংরক্ষিত পড়ুয়া ভর্তির অভিযোগ তুলে আদালতের মামলা করেন এক ছাত্রী। সেই মামলাকারী ইশিতা সোরেন-সহ অন্যান্যদের নোটিস দিতে নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন: এসেই গেল ডেট! এই দিন ফের ৪ শতাংশ DA বাড়ছে সরকারি কর্মীদের! কারা কত পাবেন?
ওদিকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় মেডিক্যালে দুর্নীতি মামলায় যে নির্দেশ দিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের কাছে মামলার অনুমতি চায় রাজ্য। সূত্রের খবর সেই অনুমতি দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। এদিন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, ‘‘দুই বেঞ্চের কারও বিরোধিতা করা হচ্ছে না। তবে ডিভিশন বেঞ্চে যে আবেদন করা হয়েছে, সে বিষয়ে আমরা আমাদের বক্তব্য লিখিত আকারে জানাতে চাই।’’ প্রসঙ্গত, দুই বিচারপতির সংঘাতের জেরে ইতিমধ্যেই বিচারপতি সৌমেন সেনের বেঞ্চ থেকে শিক্ষা সংক্রান্ত সমস্ত মামলা সরিয়ে নিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।