বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন বঙ্গে। এদিকে তার আগে সামনেই বিহারের বিধানসভা ভোট। সেই ভোটকে লক্ষ্য করে ভোটার তালিকা (Voter List) সংশোধনে উদ্যোগী নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই এই সম্পর্কিত একাধিক নতুন নির্দেশিকা জারি করে হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সরব মমতা| Mamata Banerjee
সাংবাদিক বৈঠক থেকে মমতার অভিযোগ, বিহার কেবল বাহানা মাত্র, কমিশনের আসল লক্ষ্য হল বাংলা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের নিশানা করা হচ্ছে। একটা ‘ঘাপলা’ করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এদিকে মমতার পর সাংবাদিক বৈঠক করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari)। সেখান থেকে মমতার পাল্টা একাধিক অভিযোগ তোলেন গেরুয়া বিধায়ক।
ভোটার তালিকা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যা যা অভিযোগ করেছেন তার প্রেক্ষিতে শুভেন্দু বলেন, “রোহিঙ্গা মুসলমানদের নাম বাদ চলে যাবে, বলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এত ভয়।” শুভেন্দুর কথায়, “নির্বাচন কমিশনের মতো সাংবিধানিক জায়গার বিরুদ্ধে উনি যেভাবে অভিযোগ করছেন, সেই অভিযোগের যদি ভিত্তি বা সত্যতা না থাকে তাহলে কমিশনকে বলব, যিনি এ কথা বলছেন, তার দলের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হোক।”
কী নিয়ে সমস্যা?
নির্বাচন কমিশনের নয়া নিয়মে বলা হয়েছে, এখন থেকে ভোটার তালিকায় নাম তুলতে গেলে নাগরিকত্বের নির্দিষ্ট পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। ২০০৩ সালের ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম ছিল না, তাঁদের জন্মস্থানের প্রামাণ্য সহ প্রত্যেককে ভারতীয় নাগরিক হওয়ার ‘সেল্ফ অ্যাটেস্টেড ডিক্লারেশন’ জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: প্রবীণদের ‘শ্রদ্ধার্ঘ্য’এ বাধা! আয়করের জোড়া চিঠি ৭৬০০০ মানুষকে পাঠানোর ঘোষণা অভিষেকের
১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগে যাদের জন্ম তাঁদের ক্ষেত্রে জন্মতারিখ এবং জন্মস্থানের প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। যাদের জন্ম ১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের পরে বা , ২০০৪ সালের ২ ডিসেম্বরের পরে দের জন্যও তাঁদের বাবা-মায়ের পরিচয়পত্র-সহ অতিরিক্ত নথি জমা করতে হবে। এই নয়া নিয়ম নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়ে মমতা বলেন, ‘বিহারে কিছু করবে না, কারণ ওখানে বিজেপি সরকার। আসল টার্গেট বাংলা। ওরা ভয় পেয়েছে।’ পরিযায়ী শ্রমিক এবং বাংলার বহু সাধারণ নাগরিককে নিশানা করেই এই নয়া নিয়ম বলে সরব হন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থায় কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা ব্যাতিত কমিশন এহেন সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।