বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একুশের নির্বাচনে বিজেপির টিকিতে জয়লাভ করে যারা তৃণমূলে গিয়ে নাম লিখিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে দলত্যাগ আইন কার্যকর করার দাবি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার বিকেলে দলবদলুদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উদ্দেশ্যেই তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
শুরুটা হয়েছিল কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়কে নিয়ে। বঙ্গে বিজেপির স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হওয়ার পর মুকুল রায়ের সঙ্গে দলের দূরত্ব বাড়ছিল। আর সেই দূরত্ব বাড়তে বাড়তে দলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে তৃণমূলে গিয়ে নাম লেখান রায়সাহেব। সেই সময় দিল্লিতে বসেই শুভেন্দু অধিকারী হুঙ্কার দিয়ে বলেছিলেন যে, তিনি মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ কেড়ে ছাড়বেন।
বারবার বিধানসভায় মুকুল রায়ের সদস্যপদ খারিজ করার আর্জি জানানোর পরেও লাভ হয়নি গেরুয়া শিবিরের। উল্টে মুকুল রায়কে পিএসসি চেয়াম্যান ঘোষণা করেন বিধান সভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেও বিজেপি তুমুল আপত্তি জাহির করে। রীতি মতে ওই পদ বিরোধী দলের পাওয়ার কথা। কিন্তু শাসক দলের বিধায়ককেই সেই পদ দেওয়া হয়। যদিও, স্পিকার পাল্টা বলেন যে, মুকুল বিজেপিরই লোক।
তবে এখন শুধু মুকুল রায় নন বিশ্বজিৎ দাস, তন্ময় ঘোষ ও সৌমেন রায়ও তৃণমূলে গিয়ে যোগ দিয়েছেন। আর তাঁদেরই বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে এদিন হাইকোর্টে গেলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুবাবু বলেন, আমরা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ভিত্তিতে আইনের বিচার চেয়েছি। দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করার দাবি জানিয়েছি। গোটা ভারতে যদি একই আইন থাকে, তাহলে পশ্চিমবঙ্গ বাদ যাবে কেন? আমরা আদালতের উপরে ভরসা করি। আমাদের জয় হবেই।