‘এভাবে ধর্মীয় স্থান তৈরী হয় না, ওটা কালচারাল সেন্টার’ দিঘার জগন্নাথ মন্দির নিয়ে তোপ শুভেন্দুর

বাংলা হান্ট ডেস্ক : বাংলার জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলির মধ্যে একটি হল দিঘার জগন্নাথ মন্দির (Deegha Jagannath Mandir)। আর এবার সেই দিঘায় লোক টানতে রাজ্য সরকার তৈরি করছে জগন্নাথ ধাম মন্দির। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানিয়েছেন, আগামী এপ্রিলেই ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হবে পুরীর আদলে তৈরি এই মন্দিরের দরজা। আর সম্প্রতি এই মন্দির নিয়ে প্রশ্ন তুললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

ijweny7

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগামী জানুয়ারিতে রাম মন্দির উদ্বোধন করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই নিয়ে দেশবাসীর মধ্যে উত্তেজনার শেষ নেই। এমতাবস্থায় ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে দিঘার জগন্নাথ মন্দির বাংলার সরকারের তুরুপের তাস হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। যদিও বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারীর মতে, ‘ওটা মন্দির নয়, কালচারাল সেন্টার তৈরি হচ্ছে।’

এইদিন পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারের খঞ্চির ‘খঞ্চি স্পোর্টস ও সোশ্যাল সার্ভিস’ ক্লাবের জগদ্ধাত্রী পুজোর অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন শুভেন্দু। সেখানে তাকে জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “এই সরকার ধংস হবে। যেমন পরিস্থিতি হয়েছে সাংসদ মহুয়া মৈত্রের। ধর্মীয় রীতি নীতি ও সংস্কৃতি যারাই ধ্বংস করার চেষ্টা করবে তারাই ধ্বংস হবে।”

আরও পড়ুন : প্রমোদতরীতে ঢাকা টু কলকাতা, শীঘ্রই যাত্রা শুরু! ভাড়া কত জানেন?

অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে শুভেন্দু বেশ কটাক্ষের সুরেই বলেন, দিঘায় যা তৈরি হচ্ছে তা কোনও তীর্থধাম নয় বরং কালচারাল সেন্টার। মেদিনীপুরের ভূমিপুত্রের কথায়, “আমাদের রাম মন্দির হিন্দুদের টাকায় তৈরি হচ্ছে। যার দশ টাকা দেওয়ার ক্ষমতা সে দশ টাকা আবার যার পঞ্চাশ টাকা দেওয়ার ক্ষমতা পঞ্চাশ টাকা দিয়েছে। ওখানে সরকার টাকা দিচ্ছে না। এই সরকার টাকা দিয়ে ধর্মীয় স্থান তৈরি করতে পারেন না।”

আরও পড়ুন : PPF এর নিয়মে পরিবর্তন আনল মোদী সরকার! দারুণ সুখবর বিনিয়োগকারীদের জন্য

suvendu adhikari

এইদিন শুভেন্দুর বক্তব্যের জবাবে রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, ‘শুভেন্দু ভুল ভাল বলছেন। জগন্নাথ আর বলরামকে মাতা বলে সম্বোধন করছেন। আর মন্দির মানুষের কথা ভেবেই দিঘায় তৈরি হচ্ছে।’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আপাতত ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে রয়েছে দুই দলই। এখন প্রশ্ন হল, সাধারণ মানুষের মনে কে স্থান করতে সক্ষম হবে? সেই উত্তর তো সময়ই দেবে।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর