বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চলছে লোকসভা নির্বাচন (Loksabha Election)। দেশ জুড়ে গণতন্ত্রের মহোৎসব। আর উৎসবের তালে তাল মিলিয়ে চলছে আক্রমণ, পাল্টা-আক্রমণ। সম্প্রতি ভোটের প্রচারে মেদিনীপুরে সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেখান থেকেই নন্দীগ্রামের প্রসঙ্গ তুলে, নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারীকে। পুরোনো স্মৃতি উস্কে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারী ও শিশির অধিকারীর কথা শোনা যায় মমতার গলায়। বলেন, “সেদিন যখন এসেছিলাম আমি, কোথায় ছিলেন পিতা-পুত্র? কেউ কেন দেখতে পাননি তাদের?” এদিকে মমতার এই আক্রমণের পাল্টা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari)।
পরদিনই মমতাকে নিশানা করে ভরা সভায় দাঁড়িয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘কাল খুব বড় বড় কথা বলে গিয়েছিল আমাকে। নাম না করে বলেছেন আমি তৈরী করেছি, ও তৈরী করেছে আমাকে? আমাকে যদি কেউ তৈরী করে থাকে কুমুদিনী ডাকুয়া, সুশীল ধাড়া, আভা মাইতি করেছে। আপনি কে হরিদাস পাল?’ বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক সভা থেকে মমতা দাবি করেন, তিনিই শুভেন্দু অধিকারীকে রাজনীতিতে নিয়ে এসেছেন। এই বিষয়েই ঝাঁঝলো প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন নন্দীগ্রাম বিধায়ক।
শুভেন্দু আরও বলেন, ‘ওনার রাজনীতিতে আসার অনেক আগে ৭০ সাল থেকে শিশির অধিকারী কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান। ৮২ সাল থেকে বিধায়ক। ‘lআমি ৮৭ সালে কলেজে ঢুকে আমি ৮৮ থেকে সিআর। উনি ৯৮ সালে দল করেছে, আমি ৯৫ থেকে কাউন্সিলর। নন্দীগ্রাম যেদিন হয় আপনি বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন? মা-ব্যাটা কোথায় ছিলেন? বলছে বাপ-ব্যাটাকে দেখতে পাইনি। এত নিলজ্জ। ১৯৫৬ ভোটে হারার পরও যাদের এক কান কাটা হয় রাস্তার এক সাইড দিয়ে যায়, আর দুকান কাটা যে মাঝখান মাঝখান দিয়ে যায়। এর অবস্থাও তাই হয়েছে।’
শুভেন্দু বলেন, ‘এই মা-ব্যাটা কোথায় ছিল নেতাইয়ে, কোথায় ছিল নন্দীগ্রামে? জানতেই চাই। ২০০১ সালে হয় এবার নয় নেভার বলেছিল। হেরে যাওয়ার পর জানকাপুর, মেনেকাপুরের ঘর ছাড়া তৃণমূল কর্মীরা ১৫০০ কর্মী দেড় বছর কাঁথি কলেজের পাশে করকুলি গ্রামে আমার বাড়িতে ছিল।’
আরও পড়ুন: হাতে মাত্র ২৪ ঘণ্টা! সোমেই বিরাট কাণ্ড ঘটাতে চলেছে CBI, শাহজাহান মামলায় নয়া মোড়
এখানেই থেমে থাকেন নি শুভেন্দু। তীব্র আক্রমণ শানিয়ে বলেন, ‘মা-ব্যাটা আলালের দুলাল। হেলিকপ্টার চড়ছেন, জেট ফ্লাইট চড়ছেন। Adidas-র জুতোতে Adidas লেখা তুলে পরছেন জানেনা কেউ? চোরেদের সর্দার। ১৪০০ কোটি টাকা কেবল মাত্র নির্বাচনী বন্ডে চাঁদা নিয়েছে। যার ৬০০ কোটি টাকা ডিয়ার লটারি আর ৪০০ কোটি দিয়েছে আরেক চিটিংবাজ সঞ্জীব গোয়েঙ্কা।’