বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আবাস যোজনা নিয়ে একাধিকবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে সরব হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। শেষমেষ এই প্রকল্পেও ‘একলা চলো’ নীতি অনুসরণ করেছে রাজ্য। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলার ১২ লক্ষ উপভোক্তাকে আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়ার তোরজোড়ও শুরু হয়ে গিয়েছে। এর মাঝেই এবার বড় মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ‘আসুন না একসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সব গরিব মানুষের বাড়ি করে দেব’, বলেন তিনি।
কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে আলোচনার মাঝেই বড় মন্তব্য শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)!
রিপোর্ট বলছে, রাজ্য বিধানসভায় এদিন কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে আলোচনা চলছিল। এর মাঝেই নন্দীগ্রামের বিজেপি (BJP) বিধায়ক বলেন, ‘আপনারা ১১ লক্ষ মানুষের বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার কথা বলছেন। আমি বলছি, রেকটিফাই করুন। আমরা ২০ লক্ষ মানুষের বাড়ি বানানোর টাকা কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে নিয়ে আসার বন্দোবস্ত করব’। এরপরেই একসঙ্গে রাজ্যের গরিব মানুষদের বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন তিনি। একইসঙ্গে বলেন, ‘গ্রাম সভায় আবাস নিয়ে স্বচ্ছ তালিকা বানিয়ে সর্বদল বৈঠকে পাস করে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলে আবাস চালু রাখার প্রস্তাব রাখছি’।
বিধানসভায় দাঁড়িয়ে এদিন কেন্দ্রের (Central Government) বঞ্চনা নিয়েও মুখ খোলেন শুভেন্দু। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার কর বাবদ ৪.৬ লক্ষ কোটি টাকা নিয়ে যায় এবং ১.৬ লক্ষ কোটি টাকা আটকে রেখেছে, এই অভিযোগ যে আনা হয়েছে সেটা ঠিক নয়। কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে (Government of West Bengal) ৬.৪৮ কোটি টাকা দিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ অর্পিতা-কুন্তলের জামিন! এবার পালা পার্থর? প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর মামলা নিয়ে নয়া আপডেট!
সেই সঙ্গেই যে সকল প্রকল্পে টাকা দেওয়া আটকে রয়েছে সেটা নিয়েও রাজ্যকেই দোষারোপ করেন বিজেপি বিধায়ক। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কথায়, কোথাও স্কিমের নাম পরিবর্তন হয়েছে, কোথাও আবার ইউটিলেশন সার্টিফিকেট জমা দেয়নি রাজ্য। ‘আপনারা কি সমস্যার সমাধান চান নাকি সমস্যা জিইয়ে রাখতে চান?’ প্রশ্ন করেন তিনি।
এদিকে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) একসঙ্গে কাজ করতে চাওয়ার মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিজেপি বুঝে গিয়েছে দুর্নীতি কাঁটায় তৃণমূলকে পরাস্ত করা খানিক চাপের। উল্টে একের পর এক প্রকল্পের মাধ্যমে ক্রমেই রাজ্যের শাসকদলের জনসমর্থন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেদিকে নজর রেখে বিজেপিও রাজ্য সরকারকে সাহায্য করতে চায়, এই বার্তা দিয়ে রাখলেন বিরোধী দলনেতা।