নাম তুলে চোর বদনাম দিলে একেবারে মানহানির মামলা ঠুকব! মমতাকে চরম হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)। ভোট যতই এগিয়ে আসছে ততই জোরদার হচ্ছে আক্রমণ। চলছে হুমকি হুঁশিয়ারি। নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলা সফরে বেড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার বীরভূমে এক সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, ‘কেউ কেউ সরকারে থেকে সবথেকে বেশি চুরি করেছে, সবথেকে বেশি গদ্দারি করেছে। তাঁদের মুখে এখন আবার কালো টাকার গল্প শুনি। শুনলেও হাসি পায়।’ মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যে এবার পাল্টা সরব বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

ঠিক কী বলেছিলেন মমতা? এদিন তিনি বলেন,“কয়েকটা ডাকাত-গদ্দার দল থেকে বিদায় নিয়েছে। ভাল হয়েছে। পুরুলিয়ার ছেলেমেয়ের চাকরির কোটাটাই তো কেটে দিয়েছিল।” এরপর আদালতকে উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “আদালতে প্রনাম করে বলব, আপনারা খুঁজে দেখুন পুরুলিয়ায় কী হয়েছিল। পুরুলিয়ার কোটা নিজের পকেটে ভরেছিল। কীসের বিনিময়ে সেটা আর বলছি না। আমি তখন প্রশ্ন করেছিলাম, কেন ওদের বঞ্চিত করা হবে। আমি নতুন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলাম।”

   

প্রকাশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর করা এই মন্তব্য প্রসঙ্গে শিশির পুত্র শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করা হলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, কথায় তাঁর নাম উল্লেখ করা হয়েছে কি না। পাশাপাশি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি তাঁর নাম উল্লেখ করে কোনও মন্তব্য করা হয়, তাহলে তিনি মানহানির মামলা করবেন। শুভেন্দুর সংযোজন, ‘ওনাকে প্রমাণ করতে হবে। উনি আমার বিরুদ্ধে ৩৪টি মামলা করেছেন।’

mamata suvendu

বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে একটি সভায় উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই মমতার মন্তব্য প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এই মন্তব্য করেন তিনি। পাল্টা চ্যালেঞ্জ ঠুকে বলেন, ‘কাকে বলছেন? নাম ধরে বলুন। আমি যদি ডাকাত বা গদ্দার হই, বিধানসভায় ডেকেছিলেন কেন?’

এই বিষয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বক্তব্য, এসব কথাবার্তা অর্থহীন। বললেন, ‘উনি কি কারও নাম করে বলেছেন? তা হলে ওনার এত গায়ে লাগছে কেন? তা হলে কি মুখ্যমন্ত্রী যে কথা বলেছেন তা সঠিক? তাই কি সঠিক জায়গায় লেগেছে? না হলে ওনার এত গায়ে লাগছে কেন? গাঁয়ে মানে না, আপনি মোড়ল।’

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর