বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক হিংসা, হানাহানির ঘটনা নিয়ে প্রথম দিন থেকে সরব হয়েছেন প্রখ্যাত লেখিকা তসলিমা নাসরিন (taslima nasrin)। ওপার বাংলার একাধিক শিল্পীদের মতো তিনিও স্বদেশে ঘটে যাওয়া এই বর্বোরোচিত ঘটনার সমালোচনা করতে ছাড়েননি। প্রথম থেকেই তসলিমার নিশানায় ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (sheikh hasina)। তাঁর অঙ্গুলি হেলনেই নাকি মৌলবাদীরা উস্কানি পায় বলে দাবি লেখিকার।
সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তসলিমা বলেন, বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ ধর্ম নিরপেক্ষ। কিন্তু এদের মধ্যেই অনেকে তালিবানকে সমর্থন করেন। বহুবার ওদেশে বসবাসকারী হিন্দু ও বৌদ্ধদের আক্রমণের সম্মুখীন হতে হয়েছে। কিন্তু এখনো বিচার পাননি কেউই।
তসলিমার অভিযোগ, শেখ হাসিনাকে সকলে ধর্ম নিরপেক্ষ ভাবলেও আসলে তিনি তা নন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের মেয়ে বলে অনেকেই তাঁকে ভাল মনে করলেও তসলিমা নিজে তা বিশ্বাস করেন না। তাঁর দাবি, হাসিনা সরকার ইসলামপন্থীদের সাহায্য করে। গত ১০-১৫ বছরে হিন্দুদের বহু বাড়িঘর, মন্দির ধ্বংস করা হয়েছে সংখ্যালঘুদের দেশ থেকে তাড়ানোর জন্য।
সম্প্রতি শেখ হাসিনা সরকারের তুমুল সমালোচনা করে আক্রমণকারীদের ‘কাপুরুষ’ বলে তোপ দেগেছেন বলিউডি গীতিকার জাভেদ আখতার। টুইটারে আখতার লিখেছেন, ‘বাংলাদেশে যা হচ্ছে তা অত্যন্ত লজ্জার ব্যাপার। যারা দুর্বল সংখ্যালঘুদের পিষে ফেলার চেষ্টা চালাচ্ছে তারা গুণ্ডা, কাপুরুষ এবং বিকৃত কমিউনালিস্ট। শেখ হাসিনা যিনি কিনা সাম্যবাদী মূল্যবোধে বিশ্বাসী তিনি কীকরে নিজের শাসনে এগুলো চলতে দিচ্ছেন!’
তবে ঘটনার কড়া নিন্দা করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার, দেশও সবার। ওদেশের হিন্দুদের তিনি আবেদন করেছেন নিজেদের সংখ্যালঘু না ভাবতে। ওদেশে তাদেরও বসবাস করার, নিজ উৎসব পালন করার সমান অধিকার আছে। দোষীদের কড়া শাস্তিরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন হাসিনা।