বাংলা হান্ট ডেস্ক: রবিবার ভূস্বর্গ জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu-Kashmir) আরও একবার সন্ত্রাসবাদী হামলা (Terror Attack)। ভয়াবহ এই জঙ্গি হামলায় এবার রক্ত ঝরলো বৈষ্ণোদেবীগামী (Vaishno Devi) তীর্থযাত্রীদের। পাকিস্তান (Pakistan) থেকে আসা প্রায় আটজন বন্দুকধারী জঙ্গিদের এলোপাথাড়ি গুলিতে এদিন মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ জন আর আহত হয়েছেন মোট ৩৩ জন। তাদের জেলা হাসপাতাল এবং নারায়ণা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গোয়েন্দাদের দাবি কয়েক বছর আগে অমরনাথ যাত্রায় ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলার আদলেই ছক কষা হয়েছিল এই হামলার।
যা ছিল গত এক দশকে জম্মুতে সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হামলা। জানা যাচ্ছে এই জঙ্গি হামলার সাথে সম্ভবত যোগ রয়েছে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই- তৈবার সহযোগী সংগঠনের। প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া বয়ান থেকে জানা যাচ্ছে, এই দিন জম্মু-কাশ্মীরের রিয়াসি জেলার তীর্থযাত্রীদের ওই বাসের চারিদিকে ঘিরে ধরেছিল কালো কাপড়ে মুখ ঢাকা প্রায় ৬ থেকে ৭ জন জঙ্গি। জানা গিয়েছে পুণ্যার্থীরা ওইদিন সন্ধ্যা ছ’টায় বাসে উঠেছিলেন।
আর ঠিক তার ২০ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যেই ঘটে যায় এই ভয়ঙ্কর হামলার ঘটনা। এদিন কালো মুখোশে মুখ ঢাকা ওই জঙ্গিবাহিনী প্রথমেই চারদিক দিয়ে ঘিরে ধরেছিল তীর্থযাত্রীদের বাস। তারপর চলটেড থাকে এলোপাথাড়ি গুলি। আসলে এই হামলা পুরোটাই আগে থেকে পরিকল্পিত ছিল হামলা কারীদের।
আরও পড়ুন: ‘আরও অনেক…’, কী নিয়ে মন খারাপ সুকান্তর মেয়ে সৃজার? বাবাকে নিয়ে গলায় আক্ষেপের সুর
আসলে তারা জানতো এইভাবে ঘিরে ধরে গুলি চালানো হলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলবে যার ফলে বাস আপনা থেকেই খাদে পরে যাবে। আর এদিন ঠিক তেমনটাই ঘটেছিল। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন বাস খাদে পড়ে যাওয়ার পরেই তারা কেউই থেমে থাকেনি, পুণ্যার্থীদের মৃত্যু নিশ্চিত করতে বাস খাদে পড়ে যাওয়ার পরেও ক্রমাগত গুলি চালানো হতে থাকে।
আহত এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, ‘আমি সন্ত্রাসবাদীদের একজনকে বাসে গুলি চালাতে দেখেছি। বাস খাদে পড়ে যাওয়ার পরেও ২০ মিনিট ধরে লাগাতার গুলি চালিয়ে যাচ্ছিল।’ এদিন বাসে থাকা আরও একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, ‘সব মিলিয়ে প্রায় ৬-৭ জন সন্ত্রাসবাদী ছিল। ওদের মুখগুলো মাস্ক দিয়ে ঢাকা ছিল। প্রথমে ওরা রাস্তার চারদিক থেকে বাসটা ঘিরে ধরে। তারপরেই বাসে গুলি চালাতে শুরু করে। বাস এরপর খাদে পড়ে যায়। তারপরেও ওরা বাসের কাছে চলে আসে। সবার যাতে মৃত্যু হয়, সেটা নিশ্চিত করতে আরও গুলি চালাতে থাকে। আমরা সবাই একেবারে চুপ করে ছিলাম।’