ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়তে ২৮ ফুট দীর্ঘ কলম তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিলেন বাংলাদেশি যুবক

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড (Guinness Book of the World) রেকর্ডে নিজের দেশের নাম এবং নিজের নাম তুলে ধরবার জন্য সেগুন কাঠ (teak wood) দিয়ে ৭৮ কেজি ওজনের একটি কলম (Pen) বানিয়ে তাক লাগিয়ে দেন বাংলাদেশের (Bangladesh) এক যুবক। এই কলমে আরবি (Arabic) হরফে খোদাই করে লেখা হয়েছে আল্লাহর ৯৯টি নাম ও পবিত্র কোরআন শরীফের (Quran) ১১৪টি সুরার শিরোনাম।

WhatsApp Image 2020 03 04 at 9.54.41 AM

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বড়াইল ইউনিয়নের জালশুকা গ্রামের ছেলে আবদুল্লাহ আল হায়দার (Abdullah Al-Haida)। তাঁর বাবা শরীফ আবদুল্লাহ হারুণ অনেক দিন আগেই মারা গিয়েছেন। পাঁচ ভাইবোনের পরিবারের মধ্যে আবদুল্লাহই সবার ছোট। পড়াশুনার বিষয়ে হিসাববিজ্ঞানে স্নাতক হন তিনি। বাড়ির ছাদে নিজেই এই কলমটি তৈরি করে অবাক করে দেন পুরো গ্রামবাসীকে। সেগুন কাঠ দিয়ে তৈরি করা কলমটির ওজন ৭৮ কেজি এবং দৈর্ঘ্য ২৭ দশমিক ৮ ফুট ও প্রস্থ ১৮ ইঞ্চি। কলমে নিজের হাতেই আরবি হরফে খোদাই করে আবদুল্লাহ লিখেছে আল্লাহর ৯৯টি নাম ও পবিত্র কোরআন শরীফের ১১৪টি সুরার শিরোনাম।

আবদুল্লাহ বলেন, এই কাজের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ বলপয়েন্ট (Ballpoint) হিসেবে স্বীকৃতি এনে দিতে গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে ইতোমধ্যেই আবেদন করা হয়েছে। গিনেজ বুক কর্তৃপক্ষ তার আবেদনটি গ্রহণ করে স্বীকৃতির জন্য তাঁকে ৬১টি শর্ত দেয়। আর এই শর্তগুলো সবই তিনি ইতিমধ্যেই পূরণ করতে পেরেছেন।

pen 222

এই অদ্ভুত কলম তৈরির বিষয়ে আবদুল্লাহ বলেন, ‘গত ২ জানুয়ারি কলমটি তৈরির কাজ করি আমি। এজন্য গ্রামের পার্শ্ববর্তী লালপুর বাজার থেকে ২৮ হাজার টাকায় ২৫ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি সেগুন গাছ কিনে আনি। তারপর সেটি বাড়িতে এনে ছাদের উপর রেখে শুকিয়ে দুইভাগে প্রথমে কেটে নিই। এরপর আঠা দিয়ে গাছটির সঙ্গে ২৫ ফুট দৈর্ঘ্যের ও আধা ইঞ্চি প্রস্থের স্টিলের পাইপ ভালো করে আটকে দিই। কলমটির জন্য ১৫ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের নিব বানাতে বেশ বেগ পেতে হয় আমাকে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের একটি ওয়ার্কশপে অষ্টম বারের চেষ্টার পর এটির নিব তৈরি করা হয়।

১৩ ফেব্রুয়ারি এই কলম তৈরির কাজ পুরো সম্পন্ন হয়। এরপর ১৫ দিন ধরে আরবি হরফে লেখার চর্চা করি। এরপর কলমের গায়ে আল্লাহর ৯৯টি নাম ও পবিত্র কোরআন শরীফের ১১৪টি সুরার শিরোনাম এবং দুটি সুরার চারটি আয়াত আরবি হরফে লিখে সাবধানতার সঙ্গে খোদাই করি। আরবি লেখাগুলো যাচাইয়ের জন্য আমাকে সহযোগিতা করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বিরামপুর উত্তরপাড়ার মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক নজরুল ইসলাম বিন সাইদ এবং সদর উপজেলার নরসিংসার এলাকার জোবায়দা খাতুন মহিলা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আবদুল্লাহ’।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর