বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ক্রমশই বাড়তে থাকা করোনা (COVID-19) আক্রান্তের মধ্যে আমেরিকা (America) দিল এক নতুন খবর। রেনডেসিভির প্রয়োগে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করতে সক্ষম হওয়া সম্ভব, জানাল মার্কিন ফার্মা সংস্থা। ইবোলার এই ওষুধ প্রয়োগে মিলেছে সাফল্য, বৃদ্ধি পেয়েছে সুস্থ মানুষের সংখ্যা।
পরীক্ষা করে দেখা গেছে এই ইবোলা রোগের প্রতিষেধক ব্যবহারে করোনা আক্রান্ত রোগীর দেহে এই মারণ ভাইরাসের বংশ বিস্তার রোধ পেয়েছে। FDA থেকে সম্মতি মিললেই শুরু হবে এই ওষুধের প্রয়োগ। যার ফলে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখেছে বিশ্ববাসী।
এই প্রসঙ্গে ডাঃ অভিজিত চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘আমরা সকলেই এরকম একটা মুহুর্তের জন্য অপেক্ষা করছি, যেখানে করোনা আক্রান্ত মানুষের চিকিৎসায় একটা ফার্মাটোলজিক্যাল সমাধান নিয়ে আসতে পারব। এই যে ওষুধের কথা মার্কিন সংস্থা জানাচ্ছে, সেই ওষুধ প্রয়োগ করে যে করোনা আক্রান্তদের দ্রুত চিকিৎসায় সুস্থ করে বাড়ি ফেরান যাচ্ছে, তাতে আমরা অত্যন্ত খুশি। তবে এটি এখনও গবেষণার মধ্যে রয়েছে। তবে অন্ধকারের মধ্যে একটা বিদ্যুৎ ছটা দেখতে পাই, তখন সেই দিকেই আমরা আশা করে তাকিয়ে থাকি। এক্ষেত্রেও আমরা সেইরকম একটা সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। প্রথমে আমাদের কাছে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়বার কোন সঠিক হাতিয়ার ছিল না। তবে এই ওষুধের প্রয়োগে যদি সত্যই এই রোগের বংশ বিস্তার রোধ করা যায়, তাহলে তা সকলের কাছে আশির্বাদ স্বরূপ’।
তিনি আরও জানান, ‘তবে মনে রাখতে হবে এটা ফেজ থ্রি ট্রায়াল। এবং ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যতসম্ভব পরদিন সকালে আমেরিকার ফ্রেডোরাল ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এই ওষুধের স্বীকৃতি দিতে চলেছেন। এই ওষুধ মারাত্মক আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে প্রয়োগ করে দেখা হয়েছিল। তবে ডাক্তার ফৌসিও জানিয়েছেন, এই ওষুধ প্রয়োগে ১০০ শতাংশ সাফল্য পাওয়া না গেলেও, চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। তবে বিজ্ঞান যখন কোন রোগের প্রতিষেধক আবিস্কার করে, তখন তারা ধাপে ধাপে এগন। অনেক সময় একটা ওষুধ নয়, বহু ওষুধের প্রয়োগে কোন মারণ ব্যাধি রোধ সম্ভব। তাই এই ওষুধের ক্ষেত্রেও একটু ধৈর্য ধরতে হবে’।
মার্কিন সংস্থা এই ওষুধের স্বীকৃতি দিয়ে দিলেও, ভারত তথা বাংলায় এই ওষুধের প্রয়োগের বিষয়ে তিনিও জানান, ‘যে সংস্থা এই ওষুধ তৈরি করেছেন তারা জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে এখনও অবধি ১.৫ মিলিউন ডোজ আছে। যা দিয়ে প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার মানুষের চিকিৎসা বর্তমানে সম্ভব। তবে ভারতে এমন অনেক ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা রয়েছে, যারা অনেক কম সময়ে এবং অনেক কম খরচে অনেক ওষুধ বানিয়ে ফেলতে পারেন। তাই আমরা ভারতীয় ফার্মাসিটিকল সায়েন্সের বৈজ্ঞানিকদের উপর নির্ভর করে থাকব। এবং আশায় থাকব সরকার তাঁদের সম্মতি দিলেই, তারা যাতে দ্রুততার সাথে এই প্রতিষেধকের তৈরিতে নিয়োজিত হবে’।