বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা আবহে দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর ফের খুলেছিল স্কুল কলেজের দরজা। পঠনপাঠন স্বাভাবিক হওয়ার আগেই ফের বাড়তে শুরু করল করোনা আবহ। আর সংক্রমণ বাড়তেই রাজ্যে ফের জারি হল করোনা বিধিনিষেধ। সেই সঙ্গে ফের বন্ধ হয়ে গেল স্কুল কলেজের দরজা। যার ফলে ফের অনিশ্চয়তার পথে চলে গেল পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ।
যদিও প্রথমে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য স্কুলের দরজা খুলে গেলেও, নীচু ক্লাসের পড়ুয়াদের জন্য বন্ধই ছিল স্কুলের দরজা। অনলাইনেই চলছিল তাঁদের পঠন পাঠন। অন্যদিকে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা খুলে গেলেও, তাও আবার বন্ধ হয়ে গেল।
এই পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের পঠন পাঠনের জন্য স্কুল শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে পাঁচ দফা নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, পঠন পাঠন চলবে অনলাইনে। অর্থাৎ করোনা আবহে আগে যেভাবে পড়াশুনা চলছিল, ঠিক সেই ভাবেই অনলাইনেই চলবে পড়াশুনা।
স্কুল বন্ধ থাকলেও, বন্ধ হবে না মিড ডে মিল পরিষেবা। স্বাভাবিক নিয়মেই তা জারি থাকবে।
পড়ুয়াদের জন্য নির্ধারিত বই-খাতা অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
বন্ধ হবে না ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ। ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সি ছাত্র- ছাত্রীদের জন্য যে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে, তা জারি থাকবে।
যে সকল স্কুলে হোস্টেলের ব্যবস্থা রয়েছে, তা বন্ধ করতে হবে। তবে যদি কোন ছাত্র-ছাত্রী বাড়ি যেতে না পারেন, হোস্টেলই থাকেন, সেক্ষেত্রে তাঁর ঠিকমত চিকিৎসা পরিষেবার ব্যবস্থা করতে হবে।