বাংলা হান্ট ডেস্ক: শত্রুদেশের ঘুম উড়িয়ে এবার ভারতের নৌবাহিনীর বহরে যোগ দিতে চলেছে আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত রণতরী INS Mormugao। ইতিমধ্যেই ভারতীয় নৌবাহিনীর কাছে তা হস্তান্তর করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। এদিকে, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের ক্রমবর্ধমান হস্তক্ষেপের আবহে নৌবাহিনীতে এই যুদ্ধজাহাজের যোগদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
পাশাপাশি, INS Mormugao-এর কার্যনির্বাহী অফিসার কমান্ডার আনশুল শর্মা গত শনিবার জানিয়েছেন যে, ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসকারী অপারেশনাল মোতায়েনের জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত রয়েছে এই রণতরী। পাশাপাশি, এই যুদ্ধজাহাজ নির্মাণের ক্ষেত্রে ৭০ শতাংশ দেশীয় যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এমতাবস্থায়, নৌবহরে এই যুদ্ধজাহাজের সংযুক্তির ফলে ভারতীয় নৌবাহিনীর শক্তি অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে। আপাতত INS Mormugao-কে মুম্বাইতে অবস্থিত নৌবাহিনীর ডকইয়ার্ডে মোতায়েন করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, এই বিধ্বংসী যুদ্ধজাহাজের মাধ্যমে ভারত মহাসাগরে ভারতীয় নৌবাহিনীর নজর আরও জোরদার হবে। পাশাপাশি, দেশের সমুদ্রসীমার নিরাপত্তাও মজবুত হবে।
যুদ্ধজাহাজটি ৩০ নটের বেশি গতি অর্জন করতে পারে: এই যুদ্ধজাহাজের প্রধান বিশেষত্ব হল এটি চারটি শক্তিশালী গ্যাস টারবাইন থেকে এর গতি অর্জন করে। শুধু তাই নয়, যুদ্ধজাহাজটি ৩০ নটের বেশি গতিও অর্জন করতে পারে। নৌবাহিনীর মতে, যুদ্ধজাহাজের অ্যান্টি-সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার সক্ষমতা দেশীয়ভাবে তৈরি করা হয়েছে এবং জাহাজটিতে রকেট লঞ্চার, টর্পেডো লঞ্চার এবং এসএডব্লিউ হেলিকপ্টারের ব্যবস্থাও হয়েছে।
এদিকে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে যে, এই যুদ্ধজাহাজটি ভারতীয় নৌবাহিনীর “ওয়ারশিপ ডিজাইন ব্যুরো” দ্বারা ডিজাইন করা হয়েছে। পাশাপাশি, এটি মুম্বাইয়ের মাজগাঁও ডক শিপবিল্ডার্স লিমিটেড তৈরি করেছে। নৌবাহিনী জানিয়েছে, এই যুদ্ধজাহাজের দৈর্ঘ্য হল ১৬৩ মিটার, প্রস্থ ১৭ মিটার এবং ওজন ৭ হাজার ৪০০ টন।
শুধু তাই নয়, এই যুদ্ধজাহাজে থাকা ক্ষেপণাস্ত্র ৭০ কিলোমিটার দূর থেকে আকাশে উড়ে যাওয়া বিমানে এবং ৩০০ কিলোমিটার দূর থেকে স্থল বা সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। এছাড়াও, আধুনিক রাডারের সাহায্যে খুব খারাপ আবহাওয়ার মধ্যেও নৌবাহিনীর হেলিকপ্টারগুলি এই যুদ্ধজাহাজে অবতরণ করতে পারবে। সর্বোপরি, INS Mormugao ১২৭ মিমি গান দ্বারা সজ্জিত। পাশাপাশি, এতে AK-630 অ্যান্টি মিসাইল গান সিস্টেমও রয়েছে।