নেহেরু মিউজিয়ামের নাম বদলে ফেলল কেন্দ্র! মোদি সরকারকে তীব্র কটাক্ষ কংগ্রেসের

বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের নাম বদলের রাজনীতি। একের পর এক বদলের ফেলা হচ্ছল নাম। এবার নয়াদিল্লির নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি সোসাইটির (Nehru Museum and Library Society) নাম বদলে দেওয়া হল৷ নাম বদলে করা হল প্রাইম মিনিস্টার্স মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি সোসাইটি (Prime Minister’s Museum and Library Society)।

এরপরই এই বিষয় নিয়ে নতুন করে টুইটারে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে যায় দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দল বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে৷ এবার যুযুধান দুই শিবিরের দুই প্রধান সাংগঠনিক নেতা৷ জগৎ প্রকাশ নাড্ডা এবং মল্লিকার্জুন খাড়্গে৷

বছর খানেক আগেই এই তিন মূর্তি ভবনে উদ্বোধন করা হয় প্রধানমন্ত্রী সংগ্রালয়ের৷ যে ভবন একসময় ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর প্রথম সরকারি ভবন ছিল৷ এবার সেই ভবনে থাকা মিউজিয়ামের নামও বদলে দেওয়া হল।

এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে৷ টুইট করে তিনি লেখেন, ‘যাঁদের নিজস্ব কোনও ইতিহাস নেই, তাঁরা অন্যের ইতিহাস মুছে ফেলতে শুরু করেছে৷’

খাড়্গের এই টুইটের পাল্টা জবাব দেন নাড্ডাও৷ তিনি পাল্টা ট্যুইটে লেখেন, ‘রাজনৈতিক বদহজমের আদর্শ উদাহরণ- দেশ গড়ার কাজে যে একটি পরিবার ছাড়াও অন্য নেতার ভূমিকা রয়েছে, এই সাধারণ বিষয়টা স্বীকার করতে না পারা৷’

তবে এই প্রথম নয়, এর আগে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারিও অভিযোগ তুলেছিলেন, জওহরলাল নেহরুর অবদান মুছে ফেলার চেষ্টা চলছে।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি সোসাইটির বৈঠকে জাদুঘর থেকে নেহরুর নাম বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়। ২০১৯ সালে কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, জয়রাম রমেশ ও করণ সিংকে সদস্য হিসাবে সরিয়ে সোস্যাইটি পুনর্গঠন করা হয়েছিল।

সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সোসাইটির চেয়ারপার্সন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংকে এর ভাইস প্রেসিডেন্ট করা হয়। অন্যান্য ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা যেমন নির্মলা সীতারমন, রমেশ পোখরিয়াল, প্রকাশ জাভড়েকর, ভি মুরালীধরন ও প্রহ্লাদ সিং প্যাটেলকেও সদস্য হিসাবে সোস্যাইটিতে আনা হয়েছে।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর