প্রথমবার প্লেনে চেপে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন বৃদ্ধ দম্পতি! অভিনবভাবে তাঁদের সাহায্য করলেন যুবক

বাংলা হান্ট ডেস্ক: প্রথমবার প্লেনে চড়ার অনুভূতি প্রত্যেকের কাছেই সারাজীবনের জন্য এক স্মৃতি হয়ে থাকে। যদিও, অনেকে আবার প্রথমে ভয় পেয়ে গেলেও পরে ধাতস্থ হয়ে যান। তবে, এবার প্রথমবার প্লেনে চড়ার প্রসঙ্গে এমন একটি ঘটনা সামনে এসেছে যা নিঃসন্দেহে সকলের মন ভালো করে দেবে। এমনকি, এই ঘটনা সম্পর্কিত একটি পোস্ট ইতিমধ্যেই তুমুল ভাইরাল (Viral) হয়ে গিয়েছে LinkedIn-এ।

যেখানে অমিতাভ শাহ নামের এক ব্যক্তি পুরো বিষয়টির বিস্তারিত অবতারণা করেছেন। শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে আসা এক বৃদ্ধ দম্পতির প্রথম বিমানযাত্রায় কিভাবে তিনি তাঁদেরকে অভিনবভাবে সাহায্য করেছিলেন সেই বিষয়টিও সামনে এসেছে। অমিতাভ জানিয়েছেন যে, তিনি সপ্তাহ দু’য়েক আগে দিল্লি বিমানবন্দর থেকে কানপুর যাওয়ার পথে এক বৃদ্ধ দম্পতিকে দেখতে পান। যাঁরা প্রথমবার বিমানযাত্রার জন্য এসেছিলেন। এমতাবস্থায়, তিনি তাঁদের সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেন।

তিনি বলেন, “ছবিতে থাকা এই দুর্দান্ত কিন্তু ক্লান্ত দম্পতির একটি দীর্ঘ উড়ানযাত্রা ছিল। উত্তরপ্রদেশের একটি প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে এসেছিলেন তাঁরা। এমনকি, দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছতেই তাঁদের ৮ ঘন্টা ধরে বাসে সফর করতে হয়েছে। তারপর আমার সাথে তাঁরা কানপুরের একটি ফ্লাইটে চড়েন। আমি তাঁদের বোর্ডিংয়ে দেখেই বুঝতে পারি তাঁরা প্রথমবার এসেছেন এবং তাঁরা ইংরেজিও জানেন না। এমতাবস্থায়, আমি হাসিমুখে তাঁদের কাছে গেলাম এবং আমাকে অনুসরণ করতে বললাম। তাঁরা ভেবেছিলেন যে আমি এয়ারলাইনেই কাজ করি।”

এছাড়াও, অমিতাভ তাঁর পোস্টে লিখেছেন, “বিমানে তাঁরা আমার সামনে বসেছিলেন। সেই সময়ে কাকিমা আমাকে জিজ্ঞেস করেন, আমি কি তাঁদের ছবি তুলে তাঁদের মেয়ের হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে তাঁরা যে নিরাপদে আছেন তা জানাতে পারবো কি না? আমি ছবি তুলে পাঠিয়ে দিই। এদিকে, যখন এয়ারহোস্টেস খাবার পরিবেশন করতে আসেন, তখন তাঁরা তা প্রত্যাখ্যান করেন। কিন্তু আমি অনুভব করেছিলাম যে, তাঁরা ক্ষুধার্ত রয়েছেন। তাই আমি এয়ারহোস্টেসকে তাঁদের পনির স্যান্ডউইচ এবং জুস দিতে বলেছিলাম এবং জানিয়েছিলাম তাঁরা লাকি কাস্টমার হওয়ার সুবাদে এই খাওয়ার বিনামূল্যে পাবেন। পরে, তাঁদের অগোচরে আমি ঐ খাওয়ার টাকা মিটিয়ে দিই। বিমান অবতরণের পর তাঁরা আমার উদ্দেশ্যে স্মিত হাসি হেসে চলে যান। আমি তাঁদের এভাবে সাহায্য করে প্রচুর আনন্দ পেয়েছি।”

এদিকে, এই পোস্ট ইতিমধ্যেই ভাইরাল হতে শুরু করেছে তুমুলগতিতে। প্রতিবেদনটি লেখার সময়ে পর্যন্ত ২৩,৫০০ জন লাইক করেছেন পোস্টটি। পাশাপাশি, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শেয়ারের সংখ্যাও। সর্বোপরি, ওই বৃদ্ধ দম্পতির প্রথম বিমান সফরে অমিতাভ যেভাবে তাঁদের উদ্দেশ্যে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তা জানার পর সকলেই তাঁর ভূয়সী প্রশংসাও করছেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর