বাংলাহান্ট ডেস্ক : গুপ্তধন বলেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে রাশি রাশি সোনারূপো, নানান ধরনের হিরে, পান্না, চুনি আর সেই সঙ্গে প্রচুর অর্থমুদ্রার সম্ভার। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কখনো কখনো এই গুপ্তধনের হদিস মিলেছে আবার কখনো পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে শুনে আসা গুপ্তধনের সন্ধান আজীবন খোঁজাখুঁজির পরও পাওয়া যায় নি। তবে, এবার তিলোত্তমার বুকেই রীতিমতো নজরকাড়া গুপ্তধনের খোঁজ মিলল।
জানা গিয়েছে, কয়েক যুগ আগের রুপার মুদ্রার হদিশ পেতেই রীতিমত তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে কলকাতা নগর দায়রা আদালত চত্বর থেকে। শুধু তাই নয়, আদালত চত্বর থেকে গোছা গোছা রুপোর মুদ্রা প্রকাশ্যে আসতেই এক ব্যক্তি মোহর মোহর বলে চিৎকার করে উঠেছিলেন। প্রায় ২২টি রুপোর মুদ্রা উদ্ধার হয়েছে এমন খবরকে কেন্দ্র করে রীতিমতো হইচই পড়ে যায় ব্যাঙ্কশাল আদালত চত্বরে।
কিন্তু, প্রশ্ন হলো হঠাৎ করে কীভাবে এই রৌপ্য মুদ্রার হদিশ মিললো। সূত্রের খবর, ব্যাঙ্কশাল কোর্টের রেকর্ড রুমের ভিতর একটি রহস্যময় সিন্দুককে ঘিরে অনেকদিন ধরে জল্পনা তৈরি হচ্ছিল। এর পাশাপাশি জানা গিয়েছিল যে সেই সিন্দুকের চাবি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না এরপরই কলকাতার আদালতের মুখ্য বিচারক বিষয়টি নিয়ে ভালোভাবে খোঁজখবর করার নির্দেশ দেন।
এরপরই বিচারকের নির্দেশ আসতে সিন্দুক খোলার প্রশিক্ষিত কর্মীদের নিয়ে সেই গোপন কুঠুরিতে হাজির হয়েছিলেন আদালতের রেজিস্টার কৌশিক কুন্ডু। এরপরেই ঘটে আশ্চর্যজনক ঘটনা। বহু চেষ্টার ফলে অবশেষে খোলে সেই সিন্দুক। সেই সিন্দুকের ভিতরে আরও একটি গোপন কুঠুরিতে দেখা যায় সুদৃশ্য দুটি বাক্স আর সেই বাক্সগুলো খুলতেই একেবারে কেল্লাফতে! প্রকাশ্যে আসে ১৯৩১ সালের ২২টি রৌপ্য মুদ্রা যার ঐতিহাসিক মূল্য অপরিসীম। মুদ্রার সঙ্গে মিলেছে বিভিন্ন সাইজের ছ’টি সিলমোহরও।
সূত্রের খবর, ওই মুদ্রাগুলোর বাজারদর বর্তমানে ১০ থেকে ১৫ কোটি টাকা পর্যন্ত হতে পারে। ইতিমধ্যেই সেই বিশেষ মুদ্রা এবং সীলমোহর গুলিকে গালা দিয়ে সিল করে রাখা হয়েছে। আদালতের মুখ্য বিচারক সিদ্ধার্থ কাঞ্জিলাল বলেছেন দুষ্প্রাপ্য ঐতিহাসিক দ্রব্যগুলোকে সুরক্ষিত রাখার পাশাপাশি সংগ্রহশালা তৈরী করে মানুষকে দেখার সুযোগ করে দেয়ার বন্দোবস্ত করতে।