হনুমানের নামে গোটা শহর, ৩৫০০ কিমি দূরেও রয়েছে আরেক অযোধ্যা! রাম আজও এই দেশের রাজা

বাংলা হান্ট ডেস্ক : সাংস্কৃতিক ঐক্য এবং ধর্মীয় বৈচিত্র্যের মধ্যে সমন্বয়ের একটি অসাধারণ নিদর্শন হল থাইল্যান্ডের (Thailand) প্রাচীন শহর আয়ুত্থায়া। এই শহরটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। এককালে শহরটি, বিশ্বব্যাপী কূটনীতি এবং বাণিজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল।

একদিকে যেমন ভারতে অবস্থিত শ্রী রামের জন্মভূমি অযোধ্যা (Ayodhya Ram Mandir)। ঠিক তেমনই অন্যদিকে থাইল্যান্ডে (Thailand) অবস্থিত রয়েছে আরেকটি অযোধ্যা। ভারতের অযোধ্যা থেকে এই শহরের দূরত্ব প্রায় ৩৫০০ কিলোমিটার। কিন্তু, ভগবান রাম এই দুই অযোধ্যার মধ্যে দূরত্ব দূর করেছেন। কারণ এই আয়ুত্থায়া শহরের রাজা এখনও ‘রাম’।

শ্রীরামজন্মভুমি ট্রাস্ট ভারত ও থাইল্যান্ডের মধ্যে স্থায়ী সাংস্কৃতিক সম্পর্কে দৃঢ় জোর দেয়। কারণ এই ট্রাস্টি আয়ুত্থায়ায় আরেকটি শ্রী রাম মন্দির নির্মাণ শুরু করেছে। একইসঙ্গে ভারতেও শ্রী রাম মন্দিরের জন্য থাইল্যান্ড থেকে মাটি আনা হয়। ট্রাস্টের কোষাধ্যক্ষ গোবিন্দ দেব গিরি মহামন্ত্রী চম্পত রায়ের হাতে সেই মাটি তুলে দেন।

আরও পড়ুন : অনন্য প্রতিভা! সংস্কৃতে মন্ত্রপাঠ আফ্রিকান পুরোহিতের, ভাইরাল ভিডিও দেখে অবাক ভারতীয়রা

থাইল্যান্ড তার সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহ্যের জন্য বিখ্যাত। আয়ুত্থায়ার সংলগ্ন লোপবুরি শহরে একটি রাম-ভক্ত হনুমান মন্দির রয়েছে। যা থাইল্যান্ডের জনগনের মধ্যে ভগবান রাম এবং ভগবান হনুমানের জন্য যৌথ শ্রদ্ধার উপর জোর দেয়।

আরও পড়ুন : ফের শুট আউট বাংলায়, বাড়িতে ঢুকে মারধর স্ত্রীকে! গুলিতে ঝাঁঝরা ব্যবসায়ী

ঠিক ১৮ শতকের শেষের দিকে প্রায় ধ্বংস হয়ে যায় এই শহরটি। যাইহোক, নদীর ধারে এই শহরটির ভৌগোলিক অবস্থান এটিকে আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করেছে। এই শহরটির স্থিতিস্থাপক সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক কেন্দ্র হিসেবে স্থানটিকে সুরক্ষিত করে।

আরও পড়ুন : মহুয়ার ‘ডিপি’ বদল, দল বদলাচ্ছেন তৃণমূলের অগ্নিকন্যা? জোর জল্পনা সোশ্যাল মিডিয়ায়

360 f 445037776 xq1aqbusfm8rx2l38ektdvandj2o7nty

আয়ুত্থায়ার ওয়াট ফ্রা রাম মন্দিরটি হিন্দু দেবতা মর্যাদা পুরুষত্তম রামের নামে তৈরী করা হয়েছে। এবারের ২০২৪ সালের শ্রী রাম মন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে থাইল্যান্ড থেকেও ভক্তরা আসবেন। প্রাচীনকাল থেকেই ভারতে, ভগবান রাম ও হিন্দু ধর্মের সঙ্গে থাইল্যান্ডের সম্পর্ক অনন্য। শুধুমাত্র থাইল্যান্ড থেকেই নয়, সারা বিশ্বের তীর্থযাত্রীদের প্রত্যাশা বৃদ্ধি পাচ্ছে এই মন্দিরটিকে ঘিরেই। এই অনুষ্ঠানটি বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সাংস্কৃতিক বন্ধনকে শক্তিশালী করতে এবং একতা বৃদ্ধির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত খবর