বাংলা হান্ট ডেস্ক: সুখে-শান্তিতে নির্ঝঞ্ঝাটে থাকতে কেনা চায়? কিন্তু, জীবনে চলার পথে সুখের পাশাপাশি আমাদের মুখোমুখি হতে হয় দুঃখেরও। তবে, ব্যক্তিগত জীবনে দুঃখের সময় আসে এবং চলে যায় কিন্তু যখন সমগ্র দেশেই দুঃখের বিপুল রেশ পরিলক্ষিত হয় তখন এই বিষয়টি নিঃসন্দেহে হয়ে ওঠে চিন্তার। হ্যাঁ, প্রথমে বিষয়টি জেনে কিছুটা খটকা লাগলেও সম্প্রতি একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। যেটি জানার পর অবাক হবেন প্রত্যেকেই। মূলত, বর্তমানে বিশ্বে এমন একাধিক দেশ রয়েছে যেখানে মানুষ অত্যন্ত অসুখী। এমনকি সেই তালিকায় ভারতের (India) অবস্থাও খুব একটা ভালো নয়।
বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা, ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বের অসুখী দেশের তালিকায় যে দেশগুলি শীর্ষে রয়েছে সেগুলি সম্পর্কে জানবো। পাশাপাশি জেনে নেবো ভারতের অবস্থানও। এই প্রসঙ্গে প্রথমেই জানিয়ে রাখি যে, পরিসংখ্যান অনুযায়ী, একজন মানুষের সুখী হওয়ার জন্য ৬ টি নির্দিষ্ট বিষয় রয়েছে। যেগুলি হল, দেশের সামাজিক নিরাপত্তা, আয়, স্বাস্থ্য, স্বাধীনতা, দুর্নীতি এবং উদারতা। আর এই বিষয়গুলির বিচারেই নির্ধারণ করা হয়েছে অসুখী দেশের তালিকা।
১. আফগানিস্তান: উল্লেখ্য যে, ১৩৭ টি সুখী দেশের তালিকায় সবথেকে শেষ স্থানে রয়েছে আফগানিস্তান। অর্থাৎ বর্তমানে আফগানিস্তান বিশ্বের সবথেকে অসুখী দেশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ওই দেশে তালিবানদের নৃশংস শাসনের বিষয়টি সমগ্র বিশ্বই জানে। যার ফলে বেকারত্ব থেকে শুরু করে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ এবং দুর্বল অর্থনীতির কারণে ওই দেশ বিপর্যস্ত হয়েছে। আর সেই কারণেই বেঁচে থাকার জন্য সেখানকার মানুষ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন প্রতিদিন।
২. লেবানন: আফগানিস্তানের পরেই রয়েছে লেবানন। এই দেশটি অত্যন্ত সুন্দর হলেও সেখানকার আর্থসামাজিক এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা বিপর্যস্ত করে তুলেছে সমগ্র দেশবাসীকে। শুধু তাই নয়, সেখানকার সাধারণ মানুষ সমাজ এবং সরকারের প্রতি অসন্তুষ্টও রয়েছেন। আর এই কারণেই সুখী দেশের তালিকায় লেবানন রয়েছে এক্কেবারে শেষের দিকে।
৩. সিয়েরা লিওন: এবারে আমরা যে দেশটি কথা বলব সেটি আফ্রিকা মহাদেশের অন্তর্গত সিয়েরা লিওন। এই দেশের আর্থিক অবস্থা আদৌ ভালো নয় এবং ওই দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতাও তুমুল ভাবে পরিলক্ষিত হয়।। আর সেই কারণেই রয়েছে শান্তির অভাব।
৪. জিম্বাবোয়ে: এদিকে, আফগানিস্তান, লেবানন এবং সিয়েরা লিওনের পরে যে দেশটি রয়েছে সেটি হল জিম্বাবোয়ে। ওই দেশের অস্থির ইতিহাসের কারণে সেখানকার বাসিন্দাদের একাধিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়েছে। যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছে দেশটির জনসংখ্যায় এবং বৃদ্ধি পেয়েছে মানুষের হতাশা।
আরও পড়ুন: ভোকাট্টা বেজিং, এই প্রথমবার এশিয়ার “বিলিয়নেয়ার ক্যাপিটাল” হল মুম্বাই! নয়া নজির ভারতের
৫. গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র: এই তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র। দেশটিতে দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকার সংঘাত, স্বৈরাচারী শাসন এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা সহ দেশবাসীকে জোর করে নির্বাসনে পাঠানো ওই দেশের প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর সেই কারণেই হতাশা এবং নৈরাশ্যে ভরেছে ওই দেশ।
কি অবস্থা ভারতের: এবারে আমরা যদি ভারতের অবস্থার দিকে তাকাই সেক্ষেত্রে দেখা যাবে যে ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্টে ১৩৭ টি দেশের তালিকায় নিচের দিক থেকে ১২ তম স্থানে রয়েছে ভারত। অর্থাৎ বিশ্বের ১২ তম অসুখী দেশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে আমাদের দেশ। বর্তমান সময়ে ভারতে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির আবহ তৈরি হলেও এখানকার মানুষ অসন্তুষ্ট এবং বিভিন্ন কারণে অসুখী হয়ে রয়েছেন। আর তার প্রভাব পরিলক্ষিত হয়েছে সামগ্রিক পরিসংখ্যানে।