ভোকাট্টা বেজিং, এই প্রথমবার এশিয়ার “বিলিয়নেয়ার ক্যাপিটাল” হল মুম্বাই! নয়া নজির ভারতের

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আপডেট সামনে এসেছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ভারতে (India) ক্রমশ বেড়ে চলেছে বিলিয়নেয়ার (Billionaire) তথা ধনকুবেরদের সংখ্যা। ইতিমধ্যে এই প্রসঙ্গে একটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। যেটি জানার পর অবাক হবেন প্রত্যেকেই। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই পরিসংখ্যানের টক্করে চিনকেও (China) টক্কর দিয়েছে ভারত। উল্লেখ্য যে, বর্তমানে ভারতের আর্থিক রাজধানী মুম্বাইতে (Mumbai) চিনের রাজধানী বেজিংয়ের (Beijing) তুলনায় বেশি ধনকুবের রয়েছেন। এমতাবস্থায়, প্রথমবারের মতো এশিয়ার “বিলিয়নেয়ার ক্যাপিটাল” হয়েছে মুম্বাই। অর্থাৎ, ১৬,০০০ বর্গ কিলোমিটারের বেজিংয়ের তুলনায় এখন মাত্র ৬০৩ বর্গ কিলোমিটারের মুম্বাইতে বেশি সংখ্যায় ধনকুবের রয়েছেন।

হুরুন রিসার্চের “গ্লোবাল রিচ ২০২৪”-এর তালিকা অনুযায়ী, বর্তমানে মুম্বইতে ৯২ জন বিলিয়নেয়ার রয়েছেন। যেখানে বেজিংয়ে রয়েছেন ৯১ জন বিলিয়নেয়ার। এদিকে, দেশের ভিত্তিতে দেখতে গেলে ভারতে ২৭১ জন বিলিয়নেয়ারের তুলনায় চিনে রয়েছেন ৮১৪ জন বিলিয়নেয়ার। এদিকে, বর্তমান পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিলিয়নেয়ারের সংখ্যার নিরিখে নিউইয়র্ক এবং লন্ডনের পরে মুম্বাই এখন বিশ্বে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, নিউইয়র্কে বিলিয়নেয়ারের সংখ্যা হল ১১৯ জন। পাশাপাশি, লন্ডনে রয়েছেন ৯৭ জন ধনকুবের।

মুম্বাই এবং বেজিংয়ের বিলিয়নেয়ারদের তুলনা: হুরুন রিসার্চের “গ্লোবাল রিচ ২০২৪”-এর তালিকা অনুযায়ী, এই বছর মুম্বাইতে বিলিয়নেয়ারদের তালিকায় ২৬ জন বিলিয়নেয়ার যুক্ত হয়েছেন এবং চিনের শহর বেজিংয়ে ১৮ জন বিলিয়নেয়ার কমেছে। তার মানে মুম্বাইয়ে বিলিয়নেয়ার বাড়ছে আর বেজিংয়ে কমছে।

This is the first time that Mumbai is the "Billionaire Capital" of Asia.

মুম্বাই এবং বেজিংয়ের বিলিয়নিয়ারদের সম্পদের তুলনা: মুম্বাইয়ের ধনকুবেরদের মোট সম্পদের পরিমাণ ৪৪৫ বিলিয়ন ডলার। যা গত বছরের তুলনায় ৪৭ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে, বেজিংয়ের বিলিয়নেয়ারদের মোট সম্পদের পরিমাণ ২৬৫ বিলিয়ন ডলার। চিনের বেজিং শহরে বিলিয়নেয়ারদের সামগ্রিক সম্পদ ২৮ শতাংশ কমেছে।

আরও পড়ুন: এবার ভারতে ঝড় তুলতে প্ৰস্তুত Xiaomi! লঞ্চ হতে চলেছে এই শক্তিশালী স্মার্টফোন, রয়েছে দুর্দান্ত ফিচার্স

মুম্বাইয়ের বিলিয়নেয়ারদের এই সেক্টরগুলি এনে দিয়েছে লাভ: মুম্বাইতে ওয়েলথ সেক্টরে এনার্জি এবং ফার্মাসিউটিক্যালের অন্যতম বৃহৎ যোগদান রয়েছে। কারণ, এই সেক্টরগুলির মাধ্যমেই মুকেশ আম্বানির মতো বিলিয়নেয়াররা প্রচুর মুনাফা অর্জন করেছেন। এদিকে, রিয়েল এস্টেট সেক্টরে মঙ্গল প্রভাত লোধার সম্পদ ১১৬ শতাংশ বেড়েছে।

আরও পড়ুন: এবার আমেরিকাও পাবে বিশুদ্ধতার গ্যারান্টি! দায়িত্ব নিল ভারতের এই জনপ্রিয় ব্র্যান্ড

বিশ্বের ধনীদের মধ্যে ভারতীয়দের স্থান: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ধনকুবেরদের তালিকায় বর্তমানে মুকেশ আম্বানি দশম স্থান ধরে রেখেছেন। পাশাপাশি, গৌতম আদানি ১৫ তম স্থানে রয়েছেন। এদিকে, HCL-এর শিব নাদার এবং তাঁর পরিবার রয়েছেন ৩৪ তম স্থানে। সিরাম ইনস্টিটিউটের সাইরাস এস পুনাওয়ালা রয়েছেন ৫৫ তম স্থানে রয়েছেন। এদিকে, সান ফার্মাসিউটিক্যালসের দিলীপ সাংঘভি রয়েছেন ৬১ তম স্থানে, কুমার মঙ্গলম বিড়লা ১০০ তম স্থানে ও রাধাকিশান দামানিও ১০০ তম স্থানে রয়েছেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর