বাংলাহান্ট ডেস্ক : স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক হল সাত জন্মের বন্ধন। যে বন্ধন দাঁড়িয়ে থাকে ভালোবাসা – ভরসা আর বিশ্বাসের উপর। সেই বিশ্বাসের উপর আস্থা রেখে দিল্লিতে কর্মরত স্বামী টোটো কিনবেন বলে ধীরে ধীরে টাকা জমিয়েছিলেন স্ত্রীর কাছে। কিন্তু সেই স্ত্রী স্বামীর জমানো টাকা সহ বেশ কিছু গয়না নিয়ে চম্পট দিলেন অন্য এক যুবকের সাথে।মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায় এই ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের ইসাদপুর গ্রামের এই ঘটনায় হতবাক অনেকেই।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার ইসাদপুরের বাসিন্দা সোহরাব আলি দীর্ঘদিন ধরে সেলাইয়ের কাজ করতেন দিল্লিতে। সেখান থেকে প্রায়ই গ্রামের বাড়িতে স্ত্রীর কাছে টাকা পাঠাতেন। ইচ্ছা ছিল স্ত্রীর কাছে জমানো টাকা দিয়ে ভবিষ্যতে টোটো কিনবেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন ভঙ্গ করে দিয়ে জমানো লক্ষাধিক টাকা ও বেশ কিছু সোনার গহনা নিয়ে প্রেমিকের সাথে চম্পট দিলেন স্ত্রী।
শশুর বাড়ি এবং স্বামীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এলাকার একটি যুবকের সাথে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন ওই বধুটি। হঠাৎ লক্ষাধিক টাকা ও কিছু সোনার গহনা নিয়ে ওই প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যান বধূ। পলাতক বধূর স্বামী সোহরাব জানিয়েছেন, তাদের দুটি সন্তানও আছে।তাদের শ্বশুরবাড়িতে রেখে ঐ বধু চম্পট দিয়েছেন।
পলাতক ওই বধুর শাশুড়ি জানিয়েছেন, আমার সাথে বৌমার সম্পর্ক খুব ভাল ছিল। এই ধরনের কাজ কেন করল বুঝতে পারছি না। ওর বাচ্চাগুলোকে কি বলবো বুঝতে পারছিনা। পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি।
পলাতক বধূর স্বামী সোহরাব জানিয়েছেন, এর আগেও আমার স্ত্রী একটি ছেলের সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়েছিল। কিন্তু তারপর আমায় কথা দিয়েছিল আর কখনো এই ধরনের ঘটনা সে ঘটাবে না। তখন বুঝতে পারিনি পুরোটাই অভিনয় ছিল। টোটো কেনার জন্য ওর কাছে লক্ষাধিক টাকা জমা রেখেছিল। আমার আর টোটো কেনা হলো না, দিল্লিতে ফিরে পুরনো কাজেই যোগ দিতে হবে।