বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ২১ শের নির্বাচনের পূর্বে বাংলায় তৃণমূলের (All India Trinamool Congress) ভোট ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব রয়েছে পিকের টিম (Team of PK)। দল থেকে দুর্নীতিগ্রস্থদের খুঁজে বের করে সৎ হওয়ার বার্তা দেওয়াই ছিল এই দলের উদ্দেশ্য। কিন্তু এই ম্যানেজমেন্টের মধ্যেই কিছুদিন আগে সিপিএম নেতাদের দলে টানবার অভিযোগ উঠেছিল। এই বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে পিকের টিমের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে উদ্যত হয়েছিল বাম দল।
তোলাবাজির অভিযোগ
বিরোধী দলের পর এবার তৃণমূলের এক দলীয় নেতার থেকে তোলাবাজি করার অভিযোগ উঠল পিকের টিমের এক সদস্যের বিরুদ্ধে। তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে বেশ কিছু দিন ধরে ফোন করছিলেন মৃত্যুঞ্জয় নামে এক যুবক। দেখা করতে চাইলে দলীয় কার্যালয়ে ডেকে পাঠান বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়। নিজেকের প্রশান্ত কিশোরের টিমের সদস্য বলে দাবি করে নানারকম প্রলোভন দেখিয়ে বলেন, ‘পিকে-র টিমের পক্ষ থেকে আমরা একটা কমিউনিটি কিচেন চালাব। তাই আপনাকে টাকা দিতে হবে’।
দায়ের করা হয় অভিযোগ
বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সন্দেহ হতেই ওই যুবকের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন তিনি। জানা যায়, পূর্বে পিকের টিমে ওই যুবক কাজ করতেন। কিন্তু বিগত ৬ মাস আগেই তাঁর বিরুদ্ধে নানারকম অভিযোগের ভত্তিতে ওই সদস্যকে দল থেকে বহিস্কার করে পিকের টিম।
গ্রেপ্তার হয় পিকের টিমের ভুয়ো সদস্য
এরপর তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে কুলটি থানার পুলিশ মৃত্যুঞ্জয়কে গ্রেপ্তার করে। এবিষয়ে মৃত্যুঞ্জয়ের দাদা ধনঞ্জয় সিং জানিয়েছেন, ‘গতকাল রাতে ভাইয়ের বাড়িতে আসতে দেরী হওয়ায় খোঁজ করতে শুরু করি। খোঁজ করতে গিয়ে শুনি চিটিংবাজি করার অপরাধে আমার ভাইকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আমরা অত্যন্ত ভদ্র পরিবারের লোক। এই ঘটনা শুনে খুবই খারাপ লাগছে’।
কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা
দল থেকে দুর্নীতিগ্রস্থদের খুঁজে বের করার জন্য তৈরি করা পিকের টিমের এই কর্মকান্ড দেখে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘একেই বলে চোরের উপর বাটপারি করা! তৃণমূল নেতাদের সৎ হওয়া শেখাতে গিয়ে, উল্টে তাঁদের থেকে তোলাবাজির কায়দা শিখে ফেলেছে পিকের টিম!”