বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আর মাত্র চার দিনের অপেক্ষা, তার পরেই শুরু হতে চলেছে মরুর দেশে ভারত-পাকিস্তান মহাসমর। স্বাভাবিকভাবেই ফ্যানেরা সকলেই এখন অপেক্ষা করছেন এই ম্যাচের জন্য। রাজনৈতিক সংঘর্ষের কারণে এই মুহূর্তে কোন দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেনা ভারত এবং পাকিস্তান, তাই সকলেই জানেন তাদের দেখা হয় কেবলমাত্র আইসিসি টুর্নামেন্টে। এমতাবস্থায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই দলের সর্মথকরা সকলেই চাইবেন তাদের দল জিতুক। যদিও এখনও পর্যন্ত ভারতের পাল্লা অনেকটাই ভারী বিশ্বকাপের নিরিখে। তবে ভারতকে রীতিমতো সমস্যায় ফেলতে পারেন পাকিস্তানের এই ৫ খেলোয়াড়।
বাবর আজমঃ
বিরাট কোহলির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পাক অধিনায়ক বাবর আজমের নাম সকলের কাছেই কম বেশি পরিচিত। আর এই মুহূর্তে দুর্দান্ত ফর্মেও রয়েছেন তিনি। প্র্যাকটিস ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৪১ বলে গোছানো অর্ধশতরান উপহার দিয়েছেন বাবর। টি-টোয়েন্টি কেরিয়ারের দিকে তাকালে ৬১ ম্যাচে ২২০৪ রান রয়েছে বাবরের ঝুলিতে। শুধু তাই নয় ভারতের বিরুদ্ধেও তার প্রদর্শন যথেষ্ট ভালো। এমনকি শুধুমাত্র সমস্ত ধরনের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সেঞ্চুরির নিরিখে দেখতে গেলে বিরাট কোহলির থেকেও এগিয়ে রয়েছেন তিনি।
মোহাম্মদ রিজওয়ানঃ
পাকিস্তানের তরুণ এই প্রতিভা রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছেন শেষ কয়েক বছরে। ভারতের বিরুদ্ধে যদিও তার খেলার অভিজ্ঞতা একেবারেই নেই তবে বিধ্বংসী ব্যাটিং একা হাতেই কিন্তু ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারেন তিনি। রিজওয়ান এখনও পর্যন্ত মাত্র ৪৩ টি ম্যাচ খেলেছেন এবং তাতেই ১০৬৫ রান সংগ্রহ করে ফেলেছেন তিনি। তাই এই বিস্ফোরক ব্যাটসম্যানের থেকে অবশ্যই সাবধান থাকতে হবে ভারতকে।
ফাখর জামানঃ
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দ্রুতগতির খেলা, আর মারকুটে ব্যাটিংয়ের কথা মনে পড়লে ফাখর জামানের নাম ভুলতে পারবেন না কোন ভারতীয় সমর্থকই। কারণ তার সেঞ্চুরির সৌজন্যেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনালে হারতে হয়েছিল ভারতকে৷ যদিও সেই অর্থে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তার পারফরম্যান্স ততখানি ভালো নয়, কিন্তু বর্তমানে বিস্ফোরক ফর্মে রয়েছেন তিনি। ৫৩ ম্যাচে এই মুহূর্তে টি-টোয়েন্টি কাতার সংগ্রহ ১০২১ রান।
হাসান আলিঃ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যেমন ব্যাট হাতে কামাল করেছিলেন ফাখর, তেমনি বল হাতে তিন তিনটি উইকেট তুলে নিয়েছিলেন হাসান আলি। অন্যদিকে পাকিস্তানের হয়ে প্রস্তুতি ম্যাচেও উইকেট পেয়েছেন হাসান। সম্পূর্ণ ক্রিকেট জীবন দেখতে গেলে ৪১ ম্যাচে ৫২ উইকেট রয়েছে তার। যদিও এই গতি তারকার ইকোনমি রেট কিছুটা বেশি।
শাহীন শাহ আফ্রীদিঃ
ইনিও পাকিস্তানের তরুণ প্রতিভাদের মধ্যে অন্যতম। তবে ইতিমধ্যেই নিজের গতি দিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে পরিচিতি তৈরি করেছেন তিনি। যদিও নিজের ক্রিকেট কেরিয়ারে ৩০ ম্যাচে রয়েছে ৩২ উইকেট, তবে শাহীন কিন্তু বিপদে ফেলতে পারেন বড় বড় ব্যাটসম্যানদেরও।