এবার জেনারেল কামরার যাত্রীরাও পাবেন বিশেষ সুবিধা, পদক্ষেপ রেলের! উপকৃত হবেন কোটি কোটি যাত্রী

বাংলা হান্ট ডেস্ক: দূরপাল্লার ট্রেনে (Train) সফরের ক্ষেত্রে সবসময় দেখা যায় যে, জেনারেল কামরাতেই (General Coach) সবচেয়ে বেশি ভিড় পরিলক্ষিত হয়। এমনকি, রীতিমতো তিলধারণের জায়গাও থাকে না ওই কামরাগুলিতে। এমতাবস্থায়, যাঁরা দূরপাল্লার ট্রেনের জেনারেল কামরায় সফর করেছেন তাঁরাই জানেন পরিস্থিতিটা ঠিক কোন জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। শৌচাগারের মধ্যে ঢুকেও যাত্রীরা যাতায়াত করেন সেখানে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ট্রেনের একেবারে সামনের দিকে ও শেষের দিকে থাকে এই জেনারেল কামরা। যদিও, ওই কামরাগুলিতে একেবারে উপচে পড়া ভিড় থাকে। শুধু তাই নয়, স্টেশনে ওই কামরায় ওঠা-নামা করাটাই একটা চ্যালেঞ্জের বিষয় হয় দাঁড়ায়। তবে, এবার ট্রেনের জেনারেল কামরার যাত্রীদের জন্য এল খুশির খবর।

মূলত, সফরের সময় তাঁদের কিছুটা স্বাচ্ছন্দ্য বজায় রাখতে এবার রেলওয়ে বোর্ড কিছু নতুন প্রস্তাব দিয়েছে। পাশাপাশি, রেলের জোনাল হেডদের কাছেও এই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য যে, রেলওয়ে বোর্ডের অপারেশন ও বিজনেস ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক সদস্য জয়া ভার্মা সিনহা গত ১৯ জুন একটি চিঠি দিয়েছিলেন।

যে চিঠিতে জেনারেল কামরায় বর্তমানে যে বসার ব্যবস্থা রয়েছে তা চলতি মাসের শেষের মধ্যেই সমস্ত জোনের রেলওয়ে জেনারেল ম্যানেজারদের খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। এছাড়াও, ওই চিঠিতে জেনারেল বগিতে যেভাবে ভিড় হয় সেটা নিয়মিত খতিয়ে দেখা দরকার বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

তিনি চিঠিতে জানিয়েছেন, জেনারেল বগিতে ভ্রমণরত যাত্রীদের যাতে প্রাথমিক কিছু পরিষেবা দেওয়া যায় তার ব্যবস্থা করা দরকার। এছাড়াও, ট্রেনগুলির পাশাপাশি স্টেশনেও যাতে পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা থাকে সেই বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে। এমতাবস্থায়, দূরপাল্লার ট্রেন যখন স্টেশনে থামবে তখন জেনারেল কামরার সামনে যাতে জলের প্যাকেট ও সস্তায় খাবার বিক্রির ট্রলি থাকে এই ব্যাপারেও সুপারিশ করা হয়েছে।

case railways 2

এছাড়াও, জেনারেল কোচে যাতে অনবোর্ড হাউসকিপিং স্টাফ থাকে সেই বিষয়েও অনুরোধও করা হয়েছে। মূলত, এমন স্টাফদের রাখা হতে পারে যাঁরা কিছুটা দূরত্ব পর্যন্ত গিয়ে আবার ফিরে আসতে পারেন। উল্লেখ্য যে, ট্রেনের জেনারেল কামরায় কিভাবে যাত্রীরা যাতায়াত করেন তাঁর একটি ছবি সম্প্রতি তুমুল ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। যদিও, শেষ পর্যন্ত এই সমস্ত সুপারিশগুলি বাস্তবে কতটা প্রয়োগ করা হবে সেই প্রসঙ্গে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যাত্রীদের একাংশ।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর