বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে পাকিস্তানের (Pakistan) অর্থনৈতিক অবস্থা ক্রমশ ভেঙে পড়ছে। এদিকে, ঠিক সেই আবহেই পাকিস্তানকে সমস্যায় রেখেছে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (TTP)। শুধু তাই নয়, সেদেশে সন্ত্রাসবাদ সাধারণ মানুষের জীবনকেও রীতিমতো দুর্বিষহ করে তুলেছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় করাচি পুলিশ প্রধানের অফিসে হামলা চালানোর পর TTP পাকিস্তানে আরও হামলা চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এই প্রসঙ্গে TTP গত শনিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, তারা পুলিশের ওপর আরও আক্রমণ চালিয়ে যাবে।
ইতিমধ্যেই সংবাদ সংস্থা ANI অনুসারে জানানো হয়েছে, TTP ওই বিবৃতিতে বলেছে, “পুলিশকর্মীদের সেনার সঙ্গে আমাদের যুদ্ধ থেকে দূরে থাকতে হবে। অন্যথায় শীর্ষ পুলিশ অফিসারদের নিরাপদ আশ্রয়ে হামলা চলতেই থাকবে।” পাশাপাশি আরও জানানো হয়েছে, “আবারও আমরা তাদের সতর্ক করতে চাই যাতে নিরপরাধ বন্দিদের শহীদ করা বন্ধ করা হয়। অন্যথায় ভবিষ্যতে আক্রমণের তীব্রতা আরও গুরুতর হবে।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, গত শুক্রবার TTP-র সশস্ত্র সন্ত্রাসবাদীরা পাকিস্তানের সবচেয়ে জনবহুল শহর করাচিতে পুলিশ প্রধানের কার্যালয়ে হামলা চালায়। ওই হামলায় পাঁচ সন্ত্রাসবাদী সহ আরও চারজন নিহত হয়। শুক্রবার সন্ধ্যে ৭ টা ১০ মিনিটে করাচি পুলিশ প্রধানের কার্যালয়ে এই হামলা চালানো হয়েছিল। পরে পুলিশ প্রধানের কার্যালয়টিকে সন্ত্রাসবাদীদের হাত থেকে মুক্ত করে পুলিশ।
এদিকে, গত মাসে একজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী পেশোয়ারে একটি পুলিশ কম্পাউন্ডের ভিতরে থাকা মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটায়। এই বিস্ফোরণে ৮০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিলেন। যাদের বেশিরভাগই ছিলেন পুলিশ আধিকারিক। এই ঘটনার পর জুনিয়র পদমর্যাদার কয়েকজন পুলিশকর্মী সমালোচনা করে বলেন, সেনাবাহিনীর কাজ এবার তাঁদেরকে করতে হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রশাসন TTP-র সাথে পুনরায় আলোচনা শুরু করতে চেয়েছিল।
সন্ত্রাসবাদীদের কবলে পাকিস্তান: পাকিস্তান সরকার ও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের মধ্যে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে আলোচনা শুরু হয়। ততদিনে সরকার অন্তত ১০০ জন TTP বন্দিকে মুক্তি দিয়ে দেয়। যদিও, TTP-র সাথে শান্তি চুক্তিতে পৌঁছনোর দিকে কোনো অগ্রগতি হয়নি। এমনকি, ওই সংগঠনটি গত ২৮ নভেম্বর তার যুদ্ধবিরতি প্রত্যাহার করে নেয়। এরপর থেকেই সন্ত্রাসবাদীদের কবলে পড়েছে পাকিস্তান। শুধু তাই নয়, এখন হামলার প্রভাব ইসলামাবাদ ও করাচিতেও পৌঁছে গিয়েছে।