বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের বিপাকে শাসক দলের এক কাউন্সিলর। সম্প্রতি, বাংলায় শাসক দলের একাধিক নেতা থেকে শুরু করে এলাকার কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে একের পর এক গুরুতর অভিযোগ উঠে চলেছে আর এবার তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন দলের ভিতরেরই বেশ কয়েকজন নেতা।
দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার সোনারপুর-রাজপুর পুরসভার 4 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বিভাস মুখোপাধ্যায়। বর্তমানে তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি জমি আত্মসাৎ করে সেখানে দোকান ঘর বানানো এবং কোনরকম আইনি কাগজ ছাড়াই সেগুলি বিক্রির অভিযোগ তুললো এলাকাবাসী।
সোনারপুরের এই তৃণমূল কাউন্সিলর নাকি সরকারি জমি দখল করে সেখানে একের পর এক দোকান ঘর বানিয়ে চলেছেন। শুধুমাত্র তাই নয়, পরবর্তীকালে বিশাল টাকার পরিবর্তে সেই দোকান ঘরগুলি এলাকাবাসী এবং এলাকা বহির্ভুত লোকজনের কাছেও বিক্রি করে চলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ক্ষেত্রে এলাকার বাসিন্দা সহ দলের বেশ কয়েকজন নেতাও বিভাসবাবুর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন।
ঘটনাটি জনসমক্ষে আরো বেশি করে উঠে আসে যখন টুম্পা সামন্ত নামে এক ভদ্রমহিলা নিজের টাকা ফেরত চেয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। কিছুদিন পূর্বেই মিঠু নামের এক ব্যক্তি সেই মহিলার কাছে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার বিনিময়ে দোকানঘর করিয়ে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। তবে এরপর বেআইন জমি সংক্রান্ত বিতর্ক শুরু হতেই টুম্পাদেবী তাঁর টাকা ফেরত চেয়ে অভিযোগ করে বসেন।
বর্তমানে তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ-র দরুন গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এক্ষেত্রে দলের ওয়ার্ড সভাপতি হিমাংশু দে জানান, “আমাদের এই এলাকায় কিছুদিন পূর্বে নতুন করে পুরবোর্ড গঠন করা হয় আর এরপর থেকেই বিভাস মুখোপাধ্যায় এহেন কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে চলেছে।” এছাড়াও শাসক দলের স্থানীয় বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম বিভাস এর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, “কেউ যদি কোন রকম অন্যায় করে থাকে, তাহলে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। এ ক্ষেত্রে সেই ব্যক্তিটি কোন দল করে, তা কখনই দেখা হবে না।”
এলাকাবাসী সহ নিজের দলের কর্মীদেরই ক্ষোভের মুখে পড়ে এদিন তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন বিভাস বাবু। এদিন তিনি বলেন, “আমার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ আনা হয়েছে, সেগুলি সবই মিথ্যে। এলাকার মধ্যে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে কিছু মানুষ আর সে কারণেই এই ধরনের প্রচার চালানো হচ্ছে।”