বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হাথরস কাণ্ডে রাজনৈতিক পারদ চড়ছে। গতকাল হাথরসের ডিএম এর একটি ভিডিও সামনে এসেছিল, যেখানে ওনাকে নির্যাতিতার পরিবারকে হুমকি দিতে দেখা গিয়েছিল। এর সাথে সাথে নির্ভয়ার আইনজীবী সীমা কুশওয়াহর সাথেও ডিএম এর বাকযুদ্ধের একটি ভিডিও সামনে এসেছিল। বিরোধী দল গুলো উত্তর প্রদেশ সরকার আর উত্তর প্রদেশ পুলিশের মনোভাব নিয়ে এখন প্রশ্ন তুলছে।
আর এরমধ্যে নির্যাতিতার পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করতে যাওয়া তৃণমূল কংগ্রেসের (ALL India Trinamool Congress) প্রতিনিধি দলকে ইউপি পুলিশ দ্বারা রুখে দেওয়ার খবর সামনে আসছে। তৃণমূল একটি বয়ান জারি করে বলেছেন, কয়েকজন সাংসদ উত্তর প্রদেশের হাথরস গ্রামে যেতে চেয়েছিল, কিন্তু তাঁদের দেড় কিমি আগেই রুখে দেয় পুলিশ। তৃণমূল কংগ্রেস এই ঘটনার প্রতিবাদে মুখর হয়েছে। এবং বলেছে উত্তর প্রদেশে আইন শৃঙ্খলার নাম মাত্র নেই। আর সেই কারণেই তাঁদের রোখা হয়েছে।
আরেকদিকে, হাথরসে নির্যাতিত পরিবারের সাথে দেখা করতে যাওয়া রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) আর প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে (Priyanka gandhi) বৃহস্পতিবার উত্তর প্রদেশ পুলিশ রুখে দেয়। পুলিশ দুজনকেই গ্রেটার নয়ডা থেকে গ্রেফতার করে। রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের করা হয়। আরেকদিকে, শুক্রবার এই ঘটনার একদিন পর রাহুল গান্ধীর কেন্দ্র সরকারকে তুমুল আক্রমণ করেন।
রাহুল গান্ধী ট্যুইট করে লেখেন, ‘আমি বিশ্বে কাউকে ভয় পাব না … কারও অন্যায়ের প্রতি আমার মাথা নত করব না, আমি সত্য দিয়ে অসত্যকে জিততে পারি এবং অসত্যের বিরোধিতা করার সময় আমি সমস্ত কষ্ট সহ্য করতে পারি। গান্ধী জয়ন্তীর শুভেচ্ছা।”
‘मैं दुनिया में किसी से नहीं डरूंगा… मैं किसी के अन्याय के समक्ष झुकूं नहीं, मैं असत्य को सत्य से जीतूं और असत्य का विरोध करते हुए मैं सभी कष्टों को सह सकूं।’
गाँधी जयंती की शुभकामनाएँ।#GandhiJayanti
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) October 2, 2020
জানিয়ে দিই, বুধবার হাথরসের ঘটনার পর রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী আর প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নেতৃত্বে হাজার হাজার কংগ্রেস নেতা হাথরসের জন্য রওনা দেন, কিন্তু ওনারা সেখানে পৌঁছাতে পারেন নি, রাহুল গান্ধী আর প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে মাঝ রাস্তাতেই রুখে দেয় ইউপি পুলিশ। এরপর ওনাদের গ্রেফতারও করে। যদিও বিকেলে দুজনকেই ছেড়েও দেওয়া হয়।
রাস্তায় দুই কংগ্রেসের নেতাকে রুখে দেওয়ার কারণে পুলিশ আর কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষও হয়। এরপর রাহুল গান্ধী আর প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে গ্রেফতার করে নেওয়া হয়। এরপর পুলিশ দুই নেতাকে দিল্লী বর্ডারে ছেড়ে দেয়।
বিকেলের দিকে রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সমেত ২০৩ কংগ্রেস কর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেটার নয়ডার ইকোটেক-১ থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। তাঁদের মধ্যে ৫০ জনের বিরুদ্ধে করোনা মহামারীর নিয়ম লঙ্ঘন করা সমেত বেশ কয়েকটি মামলায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।