‘শর্ট টার্ম মেমরি লস’, মাথায় বসেছে চিপ! মুকুলকে দেখতেই গেল তৃণমূলের কেউ, কেমন আছেন নেতা?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বেশ কিছুদিন ধরে রোগে ভুগছেন এককালের দুঁদে নেতা তৃণমূলের মুকুল রায় (Mukul Roy)। গত তিন দিন ধরে ভর্তি রয়েছেন বাইপাসের পাশে একটি বেসরকারি হাসপাতালে। এদিন মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার (Brain Operation) হয় মুকুলের। সূত্রের খবর, ভুলে যাওয়া থেকে শুরু করে, ব্যালেন্সিংয়ের সমস্যা দানা বেঁধেছে নেতার শরীরে। এরপরেই চিকিৎসকদের পরামর্শে অপারেশন করা হল তার। ডাক্তারদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি।

জানা গিয়েছে অস্ত্রোপচারের পর আপাতত স্থিতিশীল অবস্থাতেই রয়েছেন এই প্রবীণ নেতা। মুকুলের ঘনিষ্ঠদের সূত্রে খবর, নেতার মস্তিষ্কে ৪০ মিলিলিটারের মতো জল জমেছিল। তা বের করে একটা চিপ বসানো হয়েছে। মুকুল রায়ের ছেলে শুভ্রাংশু রায় সংবাদমাধ্যমকে জানায়, “বাবাকে কবে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে সেই বিষয়ে এখনও চিকিৎসকরা কিছু জানাননি। আজ বিকেলে এই নিয়ে কোনও তথ্য পাওয়া যেতে পারে।”

মুকুল পুত্র আরও বলেন, “বাবা আগের থেকে কিছুটা ভালো রয়েছেন। আমি আজ (শনিবার) এখনও হাসপাতালে পৌঁছতে পারিনি। যাচ্ছি, সেখানে গিয়ে চিকিৎসকদের থেকে আরও পরিষ্কার করে বাবার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারব।” নেতার ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, তার দাঁড়ানোর সমস্যা কিছুটা ঠিক হতে সপ্তাহ খানেক সময় লাগবে। তবে ভুলে যাওয়ার সমস্যা থেকে নিরাময় সময় সাপেক্ষ।

Untitled design 2022 06 27T153943.036

প্রসঙ্গত, গত বছর ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই স্নায়ুর সমস্যায় ভুগছিলেন একসময় দাপিয়ে বেড়ানো এই নেতা। মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, স্ত্রী কৃষ্ণা রায়ের বিয়োগের পর শারীরিক এবং মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন প্রবীণ নেতা। তারপর থেকে ধীরে ধীরে রাজনীতির ময়দান থেকেও সরে যেতে থাকেন তিনি। বর্তমানে তৃণমূলে থাকলেও বিজেপির বিধায়কের পদেই রয়েছেন তিনি। তবে রাজনীতির আঙিনায় আগের মতো আর সক্রিয় দেখা যায়না তাকে।

তিনদিন থেকে হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও নেতার পারিবারিক সূত্রে খবর, তৃণমূলের কেউ তাকে দেখতে যাননি। একমাত্র কৃষ্ণনগরের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অসীম ঘোষ ফোন করে তার স্বাস্থ্যের খবর নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক তথা অধুনা বিজেপি নেতা শীলভদ্র দত্ত ছাড়া বিজেপির দিক থেকেও নেতার কেউ খোঁজ নেননি বলে সূত্রের খবর।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর