বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024) আসন্ন। কয়েকদিনের মধ্যেই নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষিত হবে বলে খবর। কমবেশি প্রত্যেকটি দলই ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। বাংলাতেও বেজে গিয়েছে ভোটের দামামা। মার্চ মাসের প্রথম ৬ দিনে রাজ্যে ৩টি সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই আবহে নন্দীগ্রাম (Nandigram) থেকে এল বড় খবর। তৃণমূল কর্মীদের ওপর বিজেপি ‘হামলা’ চালিয়েছে বলে অভিযোগ।
‘জনগর্জন সভা’র প্রস্তুতি অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তৃণমূল (TMC) কর্মী-সমর্থকরা। সেই সময়ই তাঁদের ওপর হামলা করা হয়। গুরুতর আহত তৃণমূলের ৫ জন কর্মী সমর্থক। বিজেপি (BJP) আশ্রিত দুষ্কৃতিদের দিকেই অভিযোগের তীর। ঘটনার জেরে বুধবার সন্ধ্যায় নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লকে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। প্রধানমন্ত্রীর বঙ্গ সফরের দিন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের ওপর এই হামলার ঘটনার তুমুল সমালোচনা করেছে ঘাসফুল শিবির।
Left with no recourse to silence voices against their ongoing oppression, @BJP4India has resorted to a familiar tactic – VIOLENCE!
After the preparation meeting for #JonogorjonSabha in Maheshpur village of Nandigram-I block, @SuvenduWB‘s HENCHMEN ruthlessly attacked our party… pic.twitter.com/KFW2KmwLfu
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) March 6, 2024
অভিযোগ, মহেশপুরের সভা থেকে বৃন্দাবনপুরের দিকে যাচ্ছিলেন তৃণমূল (Trinamool Congress) কর্মী-সমর্থকরা। সেই সময়ই অতর্কিতে তাঁদের ওপর হামলা করা হয়। হামলার জেরে গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান, বর্ষীয়ান তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অশোক দাস ও ভরত দাস আহত হন। নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে তাঁদের ভর্তি করা হয়। হামলার এই ঘটনার প্রতিবাদস্বরূপ গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৯টা অবধি, প্রায় দু’ঘণ্টা গোকুলনগরের মহেশপুরের রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করে তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুনঃ SSC মামলায় রায় খারিজের আর্জি! প্রাক্তন জাস্টিস গাঙ্গুলির নির্দেশের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে চাকরিহারারা
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ, তমলুক সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আসগর আলি, শেখ সুফিয়ান প্রমুখ। এই প্রসঙ্গে তমলুক সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক মেঘনাথ পাল জানান, এলাকায় কিছু মানুষ শবদাহ করছিলেন। তাঁদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। পরিকল্পিতভাবে বিজেপির ঘাড়ে মিথ্যে দোষ চাপানো হচ্ছে। নন্দীগ্রামের মানুষ বিজেপির পক্ষে আছেন, একথাও বলেন তিনি।
তবে বিজেপি নেতার এই অভিযোগ মানতে চাননি তৃণমূল নেতা বাপ্পাদিত্য গর্গ। তিনি এটিকে পিঠ বাঁচানোর কৌশল তকমা দিয়ে বলেন, ‘ধীরে ধীরে মানুষ বিজেপির কাছ থেকে সরে গিয়েছে। নন্দীগ্রামে ওদের পায়ের তলায় মাটি নেই। সেই কারণে ওরা আক্রমনের পথ ধরেছে। এলাকার মানুষকে নিয়ে আমরা যোগ্য জবাব দিতে চাই’। গতকালের ঘটনার প্রেক্ষিতে এক বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পাশাপাশি এলাকায় পুলিশ প্রহরাও রয়েছে। বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামে প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছে তৃণমূল।