বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি সিবিআইয়ের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর সাক্ষাৎ নিয়ে কটাক্ষের সুর চড়িয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কারও নাম না নিলেও তার বক্তব্য ছিল নারদ কান্ডে অভিযুক্তরা সিবিআই আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করে মামলাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা হোক। একদিকে যখন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের দাবি তুলেছিলেন কুণাল ঘোষ, অন্যদিকে এবার সিবিআইয়ের সলিসিটর জেনারেল অর্থাৎ আইনজীবী তুষার মেহতার অপসারণ চেয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে চিঠি পাঠালো তৃণমূল কংগ্রেস।
ডেরেক ও’ব্রায়েন, সুধাংশুশেখর রায় সহ মোট তিন জন সাংসদ এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে চিঠিতে লেখেন, তুষারবাবুর সওয়ালের বেশ কিছু জায়গা ত্রুটিপূর্ণ। কোথাও কোথাও বর্তমান বিজেপি নেতাদের ভূমিকায় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টাও করা হয়েছে। বিশেষত শুভেন্দু অধিকারীর নাম এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে শুনানিতে। সুধাংশুবাবুদের মতে, তুষার মেহেতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন কিন্তু তিনি তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছেন না। আর তার জন্যই তাদের উপর ক্ষুব্ধ রাজ্যের শাসক দল।
বিশেষত তুষার বাবুর সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর সাক্ষাৎপর্বের প্রসঙ্গ টেনে এনে চিঠিতে লেখা হয়, “প্রভাব খাটানোর উদ্দেশ্যেই এমন বৈঠকের আয়োজন হয়েছিল বলে আশঙ্কার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।” আর এই সমস্ত কারণেই তার অপসারণের দাবি তুলল রাজ্যের শাসক দল। তাদের মতে সিবিআই-এর এই সলিসিটর জেনারেল অপসারিত না হলে স্বচ্ছতা বজায় থাকবে না।
অন্যদিকে অবশ্য শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠকের প্রসঙ্গ সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা। তার মতে, শুভেন্দু অধিকারী তার বাড়ি এসেছিলেন ঠিকই। কিন্তু তার সঙ্গে কোনো বৈঠক হয়নি তার। তিনি তার আপ্ত সহায়কের সঙ্গে কথা বলেই ফিরে যান। শুধু তাই নয়, সূত্রের খবর অনুযায়ী তুষার মেহতা এও জানিয়েছেন শুভেন্দুর বাড়িতে আসার কথা আদৌ জানতেন না তিনি। তাকে না জানিয়েই সেদিন দেখা করতে চলে আসেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এবং শেষ পর্যন্ত তাকে কেবল চা পান করেই ফিরে যেতে হয়।
এ নিয়ে অবশ্য কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এদিন টুইটে তিনি লেখেন “বিভিন্ন প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে মিস্টার অধিকারী বিভিন্ন অফিসারের উপস্থিতিতে মাননীয় সলিসিটর জেনারেলের বাসভবনে প্রবেশ করেন এবং সেখানে প্রায় ৩০ মিনিট ছিলেন। তারপরেও কি বৈঠক বাকি রয়েছে আশা করা যায়?”