বাংলা হান্ট ডেস্ক : বছর শেষে মিলেমিশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূল (Trinamool Congress) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তৃণমূল নেত্রীর বার্তা ছিল, প্রবীণ-নবীন একসাথে হাঁটলে তা আখেরে গোটা দলের জন্যই ভালো। সেই সাথে তিনি বলেন, ‘পুরনো চাল ভাতে বাড়ে, নতুন চাল আগে বাড়ে’। সেই মন্তব্যের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের শুরু হল তৃণমূলে নতুন-পুরনোর টানাপোড়েন।
সম্প্রতি ফের একবার নতুন করে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী এবং তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। আর তাও আবার তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক ব্যানার্জিকে (Abhishek Banerjee)ঘিরেই। এইদিন দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে এসে সুব্রত বক্সি বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনে যদি অভিষেক ব্যানার্জি লড়াই করেন তাহলে তিনি লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়বেননা। এবং তিনি মমতা ব্যানার্জিকে সামনে রেখেই লড়াই করবেন।’
সুব্রত বক্সীর এই মন্তব্যের পরই বড়সড় মন্তব্য করে বসেছেন মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। পাল্টা জবাব দেওয়ার ভঙ্গিতে তিনি বলেন, ‘অভিষেক নিজেই যথা সময়ে তার বক্তব্য জানাবেন। তবে অভিষেক পিছিয়ে যাবেন না, এই পিছিয়ে শব্দটা অভিষেকের ক্ষেত্রে প্রয়োগ হতে পারে না। বাক্য গঠনটা পুনর্বিবেচনা প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন : মোস্ট ওয়ান্টেড মাসুদ আজহার মৃত? জল্পনা বাড়িয়ে বড়সড় মন্তব্য পাক মন্ত্রীর
সেই সাথে রাজ্য সভাপতি আরও বলেছিলেন দলে ভাঙন ধরানো অত সহজ নয়। দলের অন্যান্যরা যে যাই বলুক না কেন, মমতা ব্যানার্জি এবং অভিষেক ব্যানার্জির লড়াইয়ে তার প্রভাব পড়বেনা। সুব্রত বক্সীর এই মন্তব্যকেও কটাক্ষ করে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘কিছু কিছু দৃষ্টিভঙ্গির কথা বলে অকারণ এই বিভাজনটা আমরা হতে দিচ্ছি। আমি শুনেছি পুজোর আগে একবার মমতাদিকে বলা হল, ‘দিদি আপনি নামুন সবাই বলছে আপনি হারিয়ে যাচ্ছেন’। কেন বলা হবে, কীসের জন্য বলা হবে।’
আরও পড়ুন : কলকাতায় ঘর সাজাচ্ছে RSS? উপেন-কল্যাণের পরে বিক্রম, ভিক্টরের বাড়িতে ভাগবত, জল্পনা তুঙ্গে
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পায়ে চোট থাকার কারণে ভার্চুয়ালি পুজো উদ্বোধন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনাপ্রসঙ্গে সুব্রত বক্সী তখন বলেছিলেন, ‘আপনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। কারণ বাংলার মানুষ আপনার দিকে তাকিয়ে আছে। স্বাভাবিকভাবেই বাংলা মনে করছে কোথাও কোথাও মমতাদি হারিয়ে যাচ্ছেন। আপনি আবার চলতে আরম্ভ করলে আমরা আবার বাংলার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে এগিয়ে যেতে পারব।’ সম্প্রতি সেই ঘটনার উদাহরণ টেনেই খোঁচা দিলেন কুণাল ঘোষ।