বাংলা হান্ট ডেস্ক : পঞ্চায়েত নির্বাচনের বাকি আর হাতে গোনা কয়েকটা দিন। শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি চালাচ্ছে প্রত্যেক পক্ষই। প্রচারের সঙ্গেই চূড়ান্ত পর্যায়ে চলছে অশান্তিও। কখনও আক্রান্ত হচ্ছে বিজেপি (Bharatiya Janata Party) প্রার্থী, কখনও তা তৃণমূল (Trinamool Congress)। বাদ যাচ্ছে না আইএসএফ (Indian Secular Front) অথবা কংগ্রেসও৷ পাল্লা দিয়ে চলছে একে অপরকে দোষারোপের পালা। এরই মধ্যে ফের একবার আক্রান্ত হলেন এক তৃণমূল প্রার্থী। চোট গুরুতর। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এখন চিকিৎসাধীন তিনি।
কী ঘটেছে ঘটনা? রঘুনাথগঞ্জ জরুর অঞ্চলের ৮৩ নম্বর বুথের ইয়াকুব আলী নামে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীকে প্রাণে মারার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। জানা যাচ্ছে, বেধড়ক মারধরের ফলে জ্ঞান হারিয়ে তিনি পড়েছিলেন রাস্তার ধারে। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। কিন্তু সেখানে তাঁর অবস্থা অবনতি হয়। এরপরই তাঁকে কলকাতা স্থানান্তর করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে খবর ঘটনাটি ঘটে রাত্রে। ওই তৃণমূল প্রার্থী ভোটের প্রচার সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা তারপরে হামলা চালায়। বেধড়ক মারধর করে। তাঁকে আহত রাস্তার পাশে ফেলে দেয়। জানাজানি হতেই তাঁকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে রঘুনাথগঞ্জ থানায় কে বা কারা এই ঘটনাটি ঘটালো কি উদ্দেশ্য ছিল পুরো তদন্ত করছে পুলিস।
গত মাসের মাঝের দিকে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে এসে আমতা বিডিও অফিসে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের হাতে বেধড়ক মারধর খান বিজেপি প্রার্থী এবং প্রস্তাবক। এই ঘটনায় আহত দুজনকে উলুবেরিয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আমতা এক নম্বর ব্লকের ভান্ডারগাছি পঞ্চায়েতে বিজেপি প্রার্থী বাবাই মজুমদার এবং প্রস্তাবক সুবীর ঘোষ মনোনয়নপত্র জমা দিতে আমতা বিডিও অফিসে আসেন। গেটে ঢোকার সময়, তাঁদের ওপর তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা চড়াও হয় বলে অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে খবর সুবীর ঘোষ এবং বাবাই মজুমদারকে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে বেধরক মারধর করে বলে অভিযোগ। সুবীরবাবুকে মারতে মারতে ২০০ মিটার টেনে নিয়ে যায়। এমনকি দুজনের থেকে কাগজপত্র, ফাইল এবং টাকা-পয়সাও ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা