বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিধানসভা নির্বাচন (WB Assembly Elections) শুরু হতে এখনও বছরখানেক বাকি। তবে সেই নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে। এই আবহে প্রাণসংশয়ে ভুগছেন একজন তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা। যে কোনও সময় বোমা মেরে তাঁকে খুন করা হতে পারে, আশঙ্কা তাঁর। ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত নিরাপত্তার দাবিতে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
প্রাণসংশয়ে ভুগছেন শাসকদলের কোন নেতা (Trinamool Congress)?
দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হওয়ার আশঙ্কা করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) অঞ্চল সভাপতি সাহিল কাজী। ২০১৬ সাল থেকে তিনি অঞ্চল সভাপতির পদে রয়েছেন। অতিরিক্ত নিরাপত্তারক্ষী চেয়ে পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন সাহিল। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে বীরভূমের ঠিবা এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০১৮ সালে ঘটনার সূত্রপাত। কান্দারকলার বাধে সাগর সেতু নামের একজন তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) কর্মীকে বোমা মেরে খুন করা হয়েছিল। ১৫ জন দুষ্কৃতী এই কাণ্ড ঘটিয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। এবার তারাই জামিন পেয়ে বাইরে বেরিয়ে এসেছে। এরপর থেকেই হুমকি দেওয়া হচ্ছে, এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুনঃ ‘এত ছোট মন নিয়ে কীভাবে মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন?’ মমতাকে ঝাঁঝালো আক্রমণ দিলীপের
ঠিবা অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতিকেও হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। তাঁকে বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে বলে খবর। ইতিমধ্যেই থানায় বিষয়টি জানানো হয়েছে। এরপর সাহিলকে একজন নিরাপত্তারক্ষী দেওয়া হয়। তবে সেই নিরাপত্তারক্ষী তাঁর প্রাণরক্ষা করতে পারবেন না বলে মনে করছেন তৃণমূল নেতা। সেই জন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তারক্ষীর আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
এই বিষয়ে তৃণমূল নেতা সাহিল বলেন, ‘২০১৬ সালে দল অঞ্চল সভাপতি করার পর থেকে সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে চলার চেষ্টা করি। তবে ২০১৮ সালে যখন সাগর খুন হয়, সেই সময় অশান্তি চরমে। বোলপুর-মুর্শিদাবাদ অঞ্চলে দুষ্কৃতীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। ৭ জন জামিন পেয়ে বাইরে। এখানে আরও গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা চলছে। সেই কারণে পুলিশকে চিঠি দিতে বাধ্য হয়েছি’।
বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। তার আগে দুষ্কৃতীরা বোমা মেরে উড়িয়ে দিতে পারে বলে আশঙ্কায় ভুগছেন তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা। যে কোনও সময় খুন হতে পারে বলে মনে করছেন তিনি। সেই কারণে অতিরিক্ত নিরাপত্তারক্ষীর আর্জি জানিয়ে পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন শাসকদলের ওই নেতা।