বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রামনবমী (Ram Navami) নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। রবিবার সকাল থেকেই জেলায় জেলায় বেরিয়েছে মিছিল। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি পা মিলিয়েছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও। বিজেপির পাশাপাশি শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছেন তৃণমূলের (Trinamool Congress) একাধিক নেতা, বিধায়ক। নানুরে যেমন রামনবমী পুজোয় অংশ নিতে দেখা গেল বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা জেলা সভাধিপতি কাজল শেখকে (Kajal Sheikh)।
রামনবমীতে (Ram Navami) ‘রাম-ময়’ বাংলা!
এদিন নানুর বিধানসভা অঞ্চলের কসবা গ্রাম পঞ্চায়েতের বেরুগ্রামে রামনবমী পুজোয় হাজির হন তৃণমূল নেতা কাজল। পুজোয় অংশ নেওয়ার পর ভোগ বিতরণ করতে দেখা যায় তাঁকে। সংশ্লিষ্ট মন্দির কমিটির তরফ থেকে কাজলের হাতে তুলে দেওয়া হয় ধ্বজা ও ত্রিশূল।
কাজল শুধু নন, এদিন রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রায় অংশ নিতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের একাধিক নেতা, বিধায়ককে। চুঁচুড়া তিন নং ওয়ার্ড ত্রিকোণ পার্ক থেকে ঘড়ির মোড় অবধি মিছিল করেন তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। হাওড়ার সালকিয়ায় আবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মিছিলে পা মেলান বিধায়ক গৌতম চৌধুরী।
আরও পড়ুনঃ ‘রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ দায়ী’! ২৬,০০০ চাকরি বাতিল কাণ্ডে এবার বোমা ফাটালেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য
চাঁপদানিতে দাঁড়িয়ে আবার বিস্ফোরক মন্তব্য করেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। ‘জয় হনুমান, জয় বজরংবলি, ওটা শুভেন্দুর বাবার একার না। বাড়াবাড়ি করলে এবার কেলা খাবে’, বলেন এই প্রবীণ রাজনীতিক।
রামনবমী উপলক্ষ্যে এদিন সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের রামমন্দিরে উপস্থিত হন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। অন্যদিকে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী পূর্ব মেদিনীপুরের সোনাচূড়ায় রামমন্দিরের শিলান্যাস হয়। যজ্ঞ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করে বলেন, ‘রাম আস্থার প্রতীক’।
এদিন সকালে আবার স্কুটি চালিয়ে মিছিলে (Ram Navami) বেরোতে দেখা যায় হুগলির প্রাক্তন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। সঙ্গে ছিলেন অর্জুন সিং, শমীক ভট্টাচার্য, অর্চনা মজুমদার সহ একাধিক বিজেপি নেতৃত্ব। নির্দিষ্ট রুট না মানায় কেষ্টপুরের কাছে শোভাযাত্রা আটকে দেয় পুলিশ। যা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তীব্র বচসায় জড়ান প্রাক্তন পদ্ম সাংসদ লকেট। শুধুমাত্র রামনবমীতে এত নিষেধাজ্ঞা কেন? প্রশ্ন তোলেন তিনি।