বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পরীক্ষা হোক কিংবা ভোটের রেজাল্ট, জেতার পর আনন্দে আত্মহারা হয়ে পরে প্রার্থী থেকে পরীক্ষার্থীরা। সেটাই স্বাভাবিক কিন্তু বর্তমানে তৃণমূল দলের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। সম্প্রতি ঘটা পুরসভা নির্বাচনে ঘাসফুল শিবির একচ্ছত্র আধিপত্য নিয়ে জিতেছে প্রায় সকল সিট। তৃণমূল দলের সবচেয়ে বেশি প্রভাব দেখা যায় খোদ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গড় পূর্ব মেদিনীপুরে।
পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি পৌরসভায় ঘাসফুল শিবির বিরোধীদের এক ইঞ্চিও না ছেড়ে সকল সিটই প্রায় দখল করে নেয় এবং এরপরেই গতকাল বিজয়ী কাউন্সিলরদের নিয়ে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজন করে দল। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে পারলোনা একাধিক জয়ী তৃণমূল কাউন্সিলর। জেতার পরেও তাদের সামনে কাঁটার মতো রয়েছে NIA বাঁধা। প্রায় কুড়ি জনেরও বেশী তৃণমূল নেতাকে জেলা ছেড়ে আসতে হয়েছে কলকাতায়।
ঘটনার সূত্রপাত বছরের শুরুতে একটি বিস্ফোরণকে কেন্দ্র করে। জানুয়ারি মাসে এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ ঘটে। যদিও তৃণমূল দল এর পেছনে কারণ হিসেবে গ্যাস সিলিন্ডার ফাটাকে দায়ী করেছে। কিন্তু বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং তাদের দলের কর্মীরা তা মানতে নারাজ। তাদের মতে, বোমা বাঁধতে গিয়ে ঘটে বিপত্তি এবং তারা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তের দাবি করে আর এরপরই তদন্ত শুরু হয়। একাধিক তৃণমূল নেতাকে জেরার জন্য ডেকে পাঠানো হয়।
বিরোধী দলনেতা একে তাদের দলের জয় মনে করলেও তৃণমূল দল একে বিশেষ পাত্তা দিতে নারাজ এবং এসব বিরোধীদের চক্রান্ত বলেই তারা দাবি করেছে।