বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মন মর্জি মতো চালাচ্ছেন পঞ্চায়েত! কাজের বালাই নেই, উল্টে পঞ্চায়েত অফিসটাকে ‘রোম্যান্সের জায়গা’ বানিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। সম্প্রতি হুগলির (Hooghly) পোলবার রাজহাট গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ উঠল। এই গ্রামের প্রধানের নাম প্রিয়াঙ্কা শূর। তাঁর বিরুদ্ধেই এমন অভিযোগ এনেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) কর্মী থেকে পঞ্চায়েত সদস্যরা।
পঞ্চায়েত সদস্যদের অভিযোগ, প্রধান (Panchayat Pradhan) কেবলমাত্র নিজের এবং নিজের ঘনিষ্ঠদের এলাকায় কাজ করেন। বাকি এলাকাগুলিতে কাজ হয় না। এর ফলে সামগ্রিকভাবে এই পঞ্চায়েত এলাকার উন্নয়ন থমকে রয়েছে। এমনকি তিনি দলের কোনও কথা শোনেন না বলেও অভিযোগ আনা হয়েছে।
এদিন এই নিয়ে পঞ্চায়েত অফিসে প্রধানের সঙ্গে কথা বলতে আসেন দলের কর্মীরা। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই পরিস্থিতি উত্তেজিত হয়ে যায়। বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি ‘জয় বাংলা’ স্লোগানও উঠতে শুরু করে। যদিও প্রধান প্রিয়াঙ্কা শূরের কথায়, তাঁকে সরানোর জন্য এসব চক্রান্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ হকার উচ্ছেদের নামে জুলুম! হাই কোর্টে দায়ের মামলা, জাস্টিস সিনহা যা বললেন … তোলপাড়!
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজহাট অঞ্চল সভাপতি রূপকুমার করের গলায় শোনা গিয়েছে সম্পূর্ণ ভিন্ন সুর। তিনি বলেন, ‘প্রধান আমাদের কোনও কথা শোনে না। উনি নিজের খেয়াল খুশিতে যা মনে হয় করে যান’।
স্থানীয় TMC কর্মী সন্দীপ মালাকার আবার একটি ছবি দেখিয়ে দাবি করেন, স্বামীর সঙ্গে যদি প্রধানের রাগ-অভিমান কিছু হয়ে থাকে, তাহলে সেটা বাড়িতে না মিটিয়ে পঞ্চায়েত অফিসে মেটান। দই-আইসক্রিম খাইয়ে রাগ ভাঙাতে দেখা যায়। পঞ্চায়েত অফিস কাজের জায়গা হলেও প্রধান সেটাকে ‘রোম্যান্সের জায়গা’ বানিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
TMC কর্মীদের দাবি, প্রধানের এহেন কাজকর্মের জন্যই তাঁর নিজের বুথে দল পরাজিত হয়েছে। এমনকি প্রধান ধীরে ধীরে BJP ঘেঁষা হয়ে গিয়েছেন বলেও দাবি করা হয়েছে। প্রিয়াঙ্কা শূরের পদত্যাগের দাবিও তুলেছেন বিক্ষুব্ধ দলীয় কর্মীরা।
এদিকে যার বিরুদ্ধে ভূরি ভূরি অভিযোগ, সেই প্রিয়াঙ্কা বলছেন, ‘কোনও রকম সমস্যা সৃষ্টি হলে আমি সর্বদা সেটা সমাধান করারচেষ্টা করি। আমি কাজ করি না বলে যে অভিযোগ আনা হচ্ছে সেটা মিথ্যে’। প্রিয়াঙ্কার দাবি, পঞ্চায়েত সদস্যরাও নাকি পঞ্চায়েতে আসেন না।