বাংলাহান্ট ডেস্কঃ উত্তরপ্রদেশের হাথরসের ঘটনার প্রতিবাদের আঁচ এসে পড়েছে কলকাতাতেও (kolkata)। শনিবার এই ঘটনার প্রতিবাদে শহরের পথে নামবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee)। বছর ১৯ শের তরুণীর গণধর্ষণের ঘটনায় গোটা ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকেই দোষীদের শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়েছে।
এই ঘটনার প্রতিবাদে এবার শনিবার বিকেল ৪ টে নাগাদ কলকাতার পথে নামবে তৃণমূলের (All India Trinamool Congress) সদস্যরা। বিড়লা তারামণ্ডল থেকে গান্ধীমূর্তি পর্যন্ত চলছে তাদের এই প্রতিবাদী মিছিল। সেইসঙ্গে এই মিছিলের নেতৃত্ব দেবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।
গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হয় না তৃণমূল সাংসদদের
হাথরসের ঘটনায় বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের আইন শৃঙ্খলার দিকে আঙ্গুল তুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বলেন, ‘সঠিকভাবে তদন্ত করতে হবে পুলিশকে। বাংলায় কোন ধর্ষণের ঘটনায় আমরা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত করি’। এদিকে আবার তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রতিমা মণ্ডল ও মমতা ঠাকুর শুক্রবার নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলে, তাদের গ্রামে ঢোকার আগেই সেখান থেকে বের করে দেয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
প্রতিবাদে নামবে তৃণমূল
তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব দলীয় বিধায়কদের নিয়ে শুক্রবার এক ভার্চুয়াল সভায় ঠিক হয়, হাথরসের ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে ব্লকে ব্লকে মিছিল করা হবে তৃণমূ্লের পক্ষ থেকে। সেইমতই শনিবার বিকেল ৪ টেয় কলকাতার রাস্তায় এই ঘটনার প্রতিবাদ মিছিলে হাঁটবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।
যোগীর পদত্যাগের দাবীতে আইনজীবীরা
প্রসঙ্গত, উত্তপ্ত উত্তরপ্রদেশের পরিস্থিতি ঠাণ্ডা করতে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে গাজিয়াবাদের কয়েক’শো আইনজীবী। বৃহস্পতিবার তারা যোগী সরকারকে তাঁর পদ থেকে বরখাস্ত করে, দ্রুতই উত্তরপ্রদেশে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানিয়েছেন। তাদের কথায়, উত্তরপ্রদেশ থেকে গণধর্ষণের যে ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে তাতে করে, মহিলাদের উপর অপরাধের নিদর্শন প্রকাশ পাচ্ছে। এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোন অধিকার নেই। কারণ উত্তরপ্রদেশের এই ঘটনা গোটা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তাই তারা দ্রুতই উত্তরপ্রদেশে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে চাইছে।