বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ত্রিপুরায় আইপ্যাক (i-pac) কর্মীদের হোটেলে আটকে রাখার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডা চরমে উঠেছে তৃণমূল এবং বিজিপির মধ্যে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় মলয় ঘটক (Malay Ghatak), ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় (Retabrata Bandopadhyay ) এবং ব্রাত্য বসুকে (Bratya Basu) প্রতিনিধি হিসেবে পাঠিয়েছিল তৃণমূল (TMC)। আজ সাংবাদিক বৈঠকে বিপ্লব দেব (Biplab Deb) সরকারের বিরুদ্ধে রীতিমতো একহাত নেন তারা। ব্রাত্য বলেন, “এখনই এতো ভয়? আইপ্যাক তো কোনও রাজনৈতিক সংগঠন নয়। ওই ২৩ জনের অপরাধটা কি? তাদের মাথার উপর প্রশান্ত কিশোর রয়েছে তাই?”
এবার কার্যত এর পাল্টা দিল ত্রিপুরা বিজেপিও (BJP)। ঘটনার সুর অবশ্য সোমবারই বেঁধে দিয়েছিলেন, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার পুলিশ সুপার মানিক লাল দাস। কার্যত সেই সূত্র ধরেই এবার আইপ্যাকের দল এবং তৃণমূলের তিন সদস্যের দলকে ‘বহিরাগত এবং পরিযায়ী’ বলে কটাক্ষ করল বিজেপি। একুশের নির্বাচনে বাংলায় রীতিমতো এক বড় ইস্যু হয়ে উঠেছিল বহিরাগত তত্ত্ব। তখন অবশ্য রিসিভিং এন্ডে ছিলেন বাংলায় আসা কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। এখন ত্রিপুরায় কার্যত একই পরিস্থিতি তৃণমূলের।
আর তাই পাল্টা কটাক্ষের সুযোগ ছাড়লো না গেরুয়া শিবির। এদিন ত্রিপুরা বিজেপির তরফ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করেন তিন মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য, রতন চক্রবর্তী এবং সুব্রত চক্রবর্তী। তৃণমূলের তীব্র সমালোচনা করে তারা বলেন, “সরকার প্রশাসন যা করেছে তা নিয়ম মেনেই করেছে।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আগেই জানানো হয়েছিল, আইপ্যাক কর্মীদের হোটেলে রাখা হয়েছিল কোভিড পরীক্ষা করানোর জন্য। সেই কথা উল্লেখ করে এদিন তারা আরও বলেন, আইপ্যাকের দল সোনামুড়া, সাব্রুম সহ ত্রিপুরার একাধিক অঞ্চলে ঘুরে বেরিয়েছে কোভিড বিধি পালন না করে। তাই তাদের বিরুদ্ধে মহামারী আইনে মামলাও রুজু করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
একইসঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে সিপিআইএমের মানিক সরকারের সুর মেলানোকেও কটাক্ষ করেন তারা। তারা বলেন,”এটা একটা নতুন রসায়ন তৈরি হতে চলেছে সিপিআইএম এবং তৃণমূল। একুশে জুলাই মমতা ব্যানার্জি সিপিআইএমের নাম উল্লেখ করেননি অথচ তাদের জন্যই ওই ঘটনা ঘটেছিল। আসলে তৃণমূল একটি উৎশৃংখল দল।”