বাংলাহান্ট ডেস্ক : তুরস্কে গত মাসে বিধ্বংসী ভূমিকম্প হয়। এবার বন্যার মুখোমুখি ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এই দেশ। দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কে বন্যার কারণে মারা গেছেন ১৪ জন। নিখোঁজ বেশ কয়েকজন। জানা গিয়েছে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে রয়েছেন ভূমিকম্পের সময় বেঁচে যাওয়া কিছু মানুষও। ভূমিকম্পের পর এনারা বসবাস করছিলেন কন্টেনার বাড়িতে। বন্যার জলের স্রোতে গাড়ি ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে তুরস্কের সানলিউরফার (Sanliurfa) রাস্তায়।
সূত্রের খবর, সানলিউরফার রাস্তাতেই প্রাণ হারিয়েছেন ১২ জন। অন্যদিকে বন্যায় একটি কন্টেইনার ডুবে গেছে আদিয়ামনে (Adiyaman)। এখানে দুটি পরিবার বসবাস করছিল। দুই কন্টেইনারবাসীর মধ্যে জানা গিয়েছে একজন মহিলাও ছিলেন। এছাড়াও আরো বেশ কয়েকজন এখনো পর্যন্ত নিখোঁজ বলে জানা গেছে। বন্যার ফলে খালি করা হয়েছে শহরের তাঁবুগুলি। সেদেশের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে এই সপ্তাহের শেষে বৃষ্টিপাত আরও বাড়তে পারে।
অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী সংস্থা আফাদ থেকে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১৩৬ মিমি (৫.৪ ইঞ্চি) বৃষ্টি হয়েছে আদিয়ামান প্রদেশের একটি এলাকায় ও ১১১ মিমি (৪.৪ ইঞ্চি) বৃষ্টি হয়েছে সানলিউরফাতে। গত দুই বছরে মোট বৃষ্টির এক-তৃতীয়াংশ হয়েছে মাত্র এই দুদিনে। সানলিউরফা গভর্নর সালিহ আয়হান (Salih Ayhan) বলেছেন, এর আগে তার প্রদেশ এইরকম বন্যার সম্মুখীন হয়নি।
এই বন্যার ফলে প্লাবিত হয়ে গিয়েছে একটি হাসপাতাল এবং সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে দুশো রোগীকে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান (Recep Tayyip Erdogan) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোয়লুকে (interior minister Suleyman Soylu) বন্যা অঞ্চল পরিদর্শনের জন্য পাঠিয়েছেন। এছাড়াও বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন সে দেশের বিরোধী নেতৃত্ব। বিরোধী নেতৃত্ব এমন অবস্থায় সরকারের সাথে কাজ করার আশ্বাস দিয়েছে।