শত্রু দেশে শুরু ‘হাইপারসনিক’ যুগ, তুর্কি-টাইফুনের প্রশ্রয়ে ‘ফোঁস’ করতে পারে পাকিস্তান! কতটা চাপে ভারত?

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : যুগ এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধাস্ত্রের ক্ষেত্রেও নিত্যনতুন প্রযুক্তি এনে প্রতিপক্ষের থেকে এগিয়ে থাকার চেষ্টায় প্রায় প্রতিটি দেশ। এই আবহে বিশ্বের তাবড় শক্তিধর দেশকে বড়সড় চমক দিয়ে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের (Hypersonic Missile) শক্তি প্রদর্শন করল তুরস্ক (Turkiye)। ক্ষেপণাস্ত্রটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘টাইফুন ব্লক-৪’। ইস্তানবুলে আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা শিল্প মেলা ২০২৫ এ প্রদর্শন করা হয়েছে এই ক্ষেপণাস্ত্রটির। আর তারপর থেকেই আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে তুর্কি ‘টাইফুন’। পাকিস্তানের এই ‘বন্ধু’ দেশের শক্তিবৃদ্ধি কতটা চিন্তাদায়ক হয়ে উঠতে পারে ভারতের (India) কাছে?

হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রে (Hypersonic Missile) শক্তি প্রদর্শন তুরস্কের

বেশ কয়েক বছর আগে টাইফুন নামেই একটি মিসাইল (Hypersonic Missile) তৈরি করেছিল প্রতিরক্ষা সংস্থা ‘রকেটসান’। নতুন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রটি আগেরটিরই উন্নততর সংস্করণ, যা ওই একই সংস্থার সৃষ্টি। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ব্যালেস্টিক মিসাইলের দৈর্ঘ্য সাড়ে ৬ মিটার, বিষ্ফোরক বোঝাই অবস্থায় ওজন ২৩০০ কেজি। ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা প্রায় ৮০০ কিমি। নির্মাতারা এই ক্ষেপণাস্ত্রের (Hypersonic Missile) গতিবেগ প্রকাশ না করলেও বিশেষজ্ঞদের অনুমান, শব্দের থেকেও প্রায় ৮ গুণ বেগে ছুটে গিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে এই অত্যাধুনিক হাতিয়ার। কতটা ঘাতক হতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র?

Turkiye revealed their hypersonic missile weapon

কতটা বিধ্বংসী এই ক্ষেপণাস্ত্র: রকেটসানের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বহুমুখী ওয়ারহেড ব্যবহারের ক্ষমতা ধরে এই মিসাইল। কমান্ড এবং কন্ট্রোল সেন্টার, যেকোনো দেশের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধ্বংস করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে টাইফুন ব্লক ৪। হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের (Hypersonic Missile) বিধ্বংসী ক্ষমতা কতটা তা সাম্প্রতিক ইরান ইজরায়েলের যুদ্ধেই চাক্ষুস করেছে গোটা বিশ্ব। তাই তুরস্কের শক্তিবৃদ্ধিতে চিন্তায় পড়েছে গ্রিস এবং আর্মেনিয়া।

আরও পড়ুন : পরনে কয়েদিদের পোশাক, আচমকাই গ্রেফতার বং গাই! নেটপাড়ায় হুলস্থুল

তুরস্কের জন্য চাপে দুই দেশ: ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র সাইপ্রাসকে নিয়ে সেই ১৯৭৪ সাল থেকেই আদায় কাঁচকলায় সম্পর্ক তুরস্ক এবং গ্রিসের। সাইপ্রাসের উপরে কার কর্তৃত্ব থাকবে তা নিয়ে পাঁচ দশক ধরে চলছে রেষারেষি। তুরস্কের এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্র (Hypersonic Missile) নতুন করে চিন্তা বাড়িয়েছে গ্রিসের। অন্যদিকে প্রতিবেশী আজারবাইজানের জন্য তুরস্ককে নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে আর্মেনিয়াও। ২০২০ সালে দুই দেশের সংঘর্ষের সময় তুর্কি হাতিয়ার দিয়েই আর্মেনিয়ার উপরে আজারবাইজান একহাত নিয়েছিল বলে মনে করেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুন : ইলিশ প্রেমীদের পোয়াবারো, ট্রলার ভর্তি করে উঠল ৪০০ টন রূপোলি শষ্য! অবশেষে কমবে দাম?

এদিকে একদা ‘বন্ধু’ তুরস্কের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক যে বদলেছে তা বোঝা গিয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’এর সময়েই। ভারতের এতদিনের কৃতজ্ঞতা ভুলে পাকিস্তানের সহযোগিতা করায় আঙ্কারার সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে নয়াদিল্লির। এমতাবস্থায় আগামীতে পাকিস্তানকে হাইপারসনিক অস্ত্র সরবরাহ করতে পারে তুরস্ক, এমনটাই আশঙ্কা করছে ভারতীয় কূটনীতিকরা। তবে তেমনটা হলে আগেও যেমন দুই দেশকে কড়া জবাব দিয়েছে ভারত, আগামীতেও তেমনটা করতে যে পিছপা হবে না, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।