বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্য করেন পয়গম্বর সম্পর্কে। তারপরই উত্তপ্ত আন্তর্জাতিক এবং ভারতীয় রাজনীতি। সেই উত্তাপের আঁচ এসে পৌঁছয় পশ্চিমবঙ্গেও। রাস্তা অবরোধ, ট্রেন অবরোধের মতো বেশ কিছু কাণ্ড দেখা যায় বাংলায়। এই বিষয়ে এবার মুখ খুললেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি। হাওড়াতে ঘটে চলা হিংসা বন্ধের আবেদন জানিয়ে পুলিশ প্রশাসনের কাছে তিনি দাবি করেন, ‘অশান্তি সৃষ্টিকারীদের স্বত্তর গ্রেফতার করুন।’ যদিও এরপরই পুরো ঘটনার জন্য টনার জন্য নরেন্দ্র মোদী এবং শাহকেই দায়ী করেছেন ত্বহা।
হাওড়ায় অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনা দরকার। হিংসা বন্ধ করতেই হবে। তিনি প্রশাসনের কাছে দাবি করে বলেন, ‘নূপুর শর্মাদের দেওয়া উস্কানিমূলক বিবৃতির জন্যই আজ বহু মুসলমান পথে নেমেছেন। রাস্তাঘাট অবরোধ করছেন। যদি এটা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। মানুষকে কষ্ট দিয়ে অবরোধ করতে ইসলাম শেখায়নি। এটা শরিয়তের শিক্ষার অপমান। আপনারা জানবেনও না কখন বিক্ষোভের মধ্যে আরএসএস ঢুকে ঢিল ছুঁড়বে। আর তাতে বদনামের ভাগীদার হবেন মুসলমানরাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি পীরের সন্তান। আপনাদের কাছে আমি হাতজোড় করে আবেদন করছি, দরকার পড়লে আমি আপনাদের পায়ে ধরে অনুরোধও করব, আপনারা এমন কাজ ভুলেও করবেন না। এতে সমগ্র মুসলমান সমাজের বদনাম হবে। আমরা সবসময় বলতাম হিন্দু-মুসলমান মিলেমিশে বাস করতে চাই। নূপুর শর্মার মত লোকেরা হিন্দু-মুসলমানের ঐক্য ভাঙার চেষ্টা করছে। সেই ফাঁদে আমরা পা দিয়ে ফেলছি।’
এর সঙ্গেই হিংসা বন্ধের দাবি জানিয়ে প্রশাসনের কাছে ত্বহার সিদ্দিকী আর্জি জানান, ‘প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি, কিছু চ্যাংড়া ছেলে ইসলাম ধর্ম নিয়ে বিভিন্ন জিনিস নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে, আপনারা তাদের এখুনি গ্রেফতার করুন।’ নূপুর শর্মাকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি কেন বলে প্রশ্নও তোলেন তিনি। তিনি দাবি করেন নূপুর শর্মাকে গ্রেফতার করা হয়নি বলেই সারা দেশে আজ আগুন জ্বলছে। এই সব কিছুর পিছনে রয়েছে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের সমর্থন। এটা মানুষের বুঝতে আর বাকি নেই বলেই মনে করেন পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি।