মর্মান্তিক! সর্পাঘাতে মৃত দাদার শেষকৃত্য করে বাড়ি ফেরার পর সাপের কামড়েই মৃত্যু হল ভাইয়ের

বাংলা হান্ট ডেস্ক: মাঝে মাঝে আমাদের চারপাশে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যেগুলি কার্যত স্তব্ধ করে দেয় সবাইকে। পাশাপাশি, ঘটনাগুলি এমনই অনভিপ্রেত হয় যে সেগুলির সঠিক ব্যাখ্যা দেওয়াও সম্ভব হয়না। ঠিক সেই রেশ বজায় রেখেই এবার এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে। এমনিতেই, সাপকে আমরা কমবেশি সকলেই ভয় করি। কারণ, বিষধর সাপের কামড় সর্বদাই প্রাণঘাতী হতে পারে। এদিকে, সাপ সম্পর্কিত একাধিক ধারণাও প্রচলিত রয়েছে। এমনকি, মনে করা হয় যে, সেগুলি নাকি প্রতিশোধও নিতে পারে। এমতাবস্থায়, বিভিন্ন জল্পনাকে উস্কে দিয়ে এক বিরল ঘটনা সামনে এল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বলরামপুর জেলা থেকে।

জানা গিয়েছে, সেখানে বিষাক্ত সাপের কামড়ে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। এই প্রসঙ্গে লালিয়া থানা এলাকার আধিকারিক রাধা রমন সিং জানিয়েছেন যে, গত ২ আগস্ট, অরবিন্দ মিশ্র (৩৮) নামের এক ব্যক্তিকে ভাভনিয়াপুর গ্রামে একটি বিষধর সাপে কামড়ায়। এদিকে, তারপরেই তাঁকে দ্রুত জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর অরবিন্দকে বাহরাইচে রেফার করা হয়। যদিও, সেখানেই মারা যান তিনি।

এদিকে, তাঁর ছোট ভাই গোবিন্দ মিশ্র (৩২) গত বুধবার লুধিয়ানা থেকে অরবিন্দ মিশ্রের শেষকৃত্যে যোগদান করতে এসেছিলেন। পাশাপাশি, তাঁর সাথে ছিলেন আর এক আত্মীয় চাঁদশেখর পান্ডে। শেষকৃত্যের কাজ হওয়ার পরে তাঁরা বাড়িতে বিশ্রাম নেওয়ার সময়ে বুধবার রাতে একটি বিষাক্ত সাপ গোবিন্দ মিশ্র ও চাঁদশেখর পাণ্ডেকে কামড়ায়।

এমতাবস্থায়, এই ঘটনায় স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ার কারণে তাঁদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মারা যান গোবিন্দ মিশ্র। জানা গিয়েছে, গোবিন্দ মিশ্রের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি, চাঁদশেখর পান্ডের অবস্থাও অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। এদিকে, এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে সমগ্ৰ এলাকায়। এছাড়াও, আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারাও।

strap snouted brown snake

এই ঘটনার খবর পেয়ে চিফ মেডিক্যাল অফিসার ও বন বিভাগের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। পাশাপাশি আঞ্চলিক বিধায়ক কৈলাশ নাথ শুক্লা মৃতদের আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের সান্ত্বনা দেন এবং সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তার আশ্বাস জানান। একই সঙ্গে সাপের কামড়ে মৃত্যুর ঘটনা রোধে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতেও বলেন তিনি।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর