মৃত্যুর ২৪ ঘন্টা আগে কারা হানা দেন জুবিনের ঘরে! মামলার মোড় ঘুরিয়ে দিল বিষ্ফোরক তথ্য

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : সঙ্গীতশিল্পী জুবিন গর্গের (Zubeen Garg) মৃত্যু নিয়ে রহস্য এখনও অব্যাহত। অসম পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল এই ঘটনার তদন্তভার গ্রহণ করেছে। একাধিক গ্রেফতারিও হয়েছে এই মামলায়। কিন্তু গায়কের মৃত্যুর নেপথ্যে আসল কারণ এখনও স্পষ্ট হয়নি। এর মাঝেই প্রকাশ্যে এল নতুন তথ্য।

জুবিনের (Zubeen Garg) মৃত্যুর ২৪ ঘন্টা আগে কী হয়েছিল?

জুবিনের (Zubeen Garg) মৃত্যু মামলায় যে সিট গঠন হয়েছিল তার তদন্তে উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। গায়কের হোটেলের ঘরে নাকি দুই অজানা আগন্তুকের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। জুবিন (Zubeen Garg) ছাড়াও ওই ঘরে ঢোকার চাবি নাকি ছিল তাঁর ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মার কাছে। গায়কের মৃত্যুর ২৪ ঘন্টা আগে নাকি ওই দুই আগন্তুক তাঁর হোটেলের রুমে এসে দেখা করেছিলেন।

Two people met zubeen garg in his hotel room

কী অভিযোগ উঠেছে: এমতাবস্থায় প্রশ্ন উঠছে, তারকা গায়কের ঘরে প্রবেশের  অনুমতি কী করে পেলেন ওই দুই ব্যক্তি? এদিকে জুবিনের (Zubeen Garg) ম্যানেজার সিদ্ধার্থের দাবি, সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠানের আয়োজক শ্যামকানু মাহাতো নাকি সেই অনুমতি দেন ওই দুই ব্যক্তিকে। অন্যদিকে শ্যামকানু আবার দোষ চাপিয়েছেন সিদ্ধার্থের ঘাড়ে।

আরও পড়ুন : রেলের সময়সূচীতে বড়সড় রদবদল, বাতিল একাধিক ট্রেন, এক সপ্তাহ জুড়ে যাত্রী ভোগান্তির আশঙ্কা

রিপোর্ট নিয়ে সন্দেহ: সিঙ্গাপুরে যে ময়না তদন্ত হয়েছে জুবিনের (Zubeen Garg), তার রিপোর্ট অনুযায়ী, জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে গায়কের। কিন্তু জানা যাচ্ছে, গায়কের নাকি জলে ভয় ছিল। তা সত্ত্বেও কেন লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই জলে নামলেন জুবিন (Zubeen Garg)? উঠছে প্রশ্ন। উপরন্তু এও অভিযোগ উঠছে, গায়ককে জলে ডুবে যেতে দেখেও নাকি তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করেননি তাঁর সঙ্গীরা।

আরও পড়ুন : উত্তরবঙ্গে রক্তাক্ত খগেন মুর্মু, নেপথ্যে তৃণমূলের হাত? বিষ্ফোরক অভিযোগ এনে স্ত্রীর হুঙ্কার, ‘দিল্লি যাব’

সম্প্রতি জুবিনের ব্যান্ডের সদস্য শেখরজ্যোতি গোস্বামী মুখ খোলেন সেদিনের ঘটনা নিয়ে। তিনি জানান, জুবিনকে (Zubeen Garg) যখন ইয়টে করে মাঝ সমুদ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তখন গায়কের ম্যানেজার নিজেই চালককে সরিয়ে দিয়ে নিজে উত্তাল সমুদ্রে ইয়ট চালাতে শুরু করেন। ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা নাকি অসম অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের মদ দিতে বারণ করে নিজেই সাপ্লাই করেছিলেন। শেখরজ্যোতি আরও বলেন, গায়কের যখন নিঃশ্বাস আটকে আসছিল তখন নাকি তাঁর ম্যানেজার বলছিলেন, যেতে দাও যেতে দাও। জুবিনের (Zubeen Garg) মুখ থেকে গ্যাঁজলা উঠতে শুরু করলেও নাকি ম্যানেজার বলেছিলেন, ওটা অ্যাসিড থেকে হচ্ছে। চিন্তার কোনও কারণ নেই। চিকিৎসার কোনও ব্যবস্থাও তিনি করেননি বলে অভিযোগ করেন শেখরজ্যোতি।